৪ দফার প্রার্থী তালিকা ঘোষাণা করেছে বিজেপি। আর তাতেই দলের অন্দরে চরম অসন্তোষ। খাস কলকাতায় ভারতীয় জনতা পার্টির হেস্টিংস কার্যালয়ে আছড়ে পড়েছে কর্মীদের বিক্ষোভ। জেলায় জেলায় ক্রমাগত প্রকট হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের গোষ্ঠী কোন্দলের চিত্র। প্রার্থী নিয়ে অশান্তি এমন চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে যে সামাল দিতে ময়দানে নেমেছেন খোদ বিজেপির ‘চাণক্য’ অমিত শাহ। সর্বভারতীয় বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডার সঙ্গে প্রায় ভোর-রাত পর্যন্ত বৈঠকের পরও সমস্যার সমাধান এখনও অধরাই! এবার বিজেপির প্রার্থী নিয়ে বিক্ষোভ উঠল সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে। যেখানে গেরুয়া শিবিরের হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন অভিনেত্রী অঞ্জনা বসু (Anjana Basu)।
একুশে বাংলায় পদ্ম ফোটাতে যখন মরিয়া বিজেপি (BJP), তখন বিধানসভা নির্বাচনের (West Bengal Assembly Election 2021) আগে একাধিক জায়গায় এমন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যে আখেড়ে ভোটবাক্সে প্রভাব ফেলতে পারে, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই 'ফিসফাস' শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলের অন্দরে।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে প্রচার শুরু করেছেন পদ্ম শিবিরের প্রার্থী অঞ্জনা। জয়ের ব্যাপারে বেশ আশাবাদীও তিনি। তবে প্রচারের মাঝেই বিধি বাম! তারকা প্রার্থী নিয়ে আবারও সেই 'বহিরাগত' অভিযোগ। স্থানীয় নেতার বদলে অঞ্জনা বসুকে প্রার্থী করা নিয়েই ক্ষুব্ধ সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। আর তার জেরেই মঙ্গলবার বিকেলে হরিণাভী মোড়ে রাস্তা অবরোধ করে। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে অঞ্জনা বসুর প্রার্থী পদ বাতিল করা হোক। তার পরিবর্তে এলাকার 'ভূমিপুত্র' তমাল চৌধুরিকেই চাইছেন তাঁরা প্রার্থী হিসেবে। যদিও এই গোষ্ঠীদ্বন্দ নিয়ে এখনই কোনওরকম মন্তব্য করতে চাইছেন না গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী অঞ্জনা বসু।
সংশ্লিষ্ট এলাকার পদ্ম শিবির সমর্থকরা হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন, অঞ্জনাকে সরিয়ে যদি তমাল চৌধুরিকে প্রার্থী পদ না দেওয়া হয়, তাহলে এই আন্দোলন তাঁরা চালিয়ে যাবেন। কারণ সোনারপুর দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্র জিততে তাঁদের কাছে ভরসার পাত্র এলাকার ভূমিপুত্র তমাল চৌধুরি। ইতিমধ্যেই বিজেপির কেন্দ্রীয় ও রাজ্য নেতৃত্বের কাছে তাঁরা এই অভিযোগ জানিয়েছেন। তবে সমস্যার সমাধান এখনও অধরাই।
উল্লেখ্য, এই একই কেন্দ্রে তৃণমূলের (TMC) হয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করছেন লাভলি মৈত্র (Lovely Maitra)। সেই টেলি-অভিনেত্রীর প্রার্থী হওয়া নিয়েও মতবিরোধ দেখা দিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের অন্দরে। তবে, গেরুয়া শিবিরের মতো সেই ক্ষোভ এতটা প্রকট হয়ে ওঠেনি!