গত বছর ৩ এপ্রিল পায়েল দে ও দ্বৈপায়ন দাসের জীবনে আসে তাদের প্রথম সন্তান মেরাক। এবছর এপ্রিলের মাঝামাঝি তার জন্মদিন উপলক্ষে একটি ভোজের আয়োজন করেছিলেন দম্পতি। কিন্তু সাম্প্রতিক স্বাস্থ্য-পরিস্থিতি বিচার করে ছেলের জন্মদিনের ভোজটি পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা।
আগামী ১২ এপ্রিল কলকাতার একটি ব্যাঙ্কোয়েটে এই ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। ওইদিনটি হল এপ্রিলের দ্বিতীয় রবিবার অর্থাৎ বাংলা বিনোদন জগতের নির্দিষ্ট ছুটির দিন। টেলি ও টলিপাড়ার যাবতীয় শুটিং বন্ধ থাকে প্রতি মাসের দ্বিতীয় রবিবার। যেহেতু নিমন্ত্রিতদের বেশিরভাগই বিনোদন জগতের তাই ওই দিনই মেরাকের জন্মদিনের ভোজটি রাখা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ‘হোগা না করোনা’ বলে ফিরলেন ঢিনচ্যাক পূজা
২০ মার্চ থেকে ১২ এপ্রিল, বেশ অনেকটা সময়, প্রায় ২২ দিন। ওই সময়ের মধ্যে এদেশে করোনা সংক্রমণকে প্রতিহত করে ফেলতেও পারেন চিকিৎসক ও বিজ্ঞানীরা। কিন্তু তার পরেও কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছেন না পায়েল-দ্বৈপায়ন। কারণ ২০ মার্চ সকালেই জানা গিয়েছে যে কলকাতায় দ্বিতীয় করোনা-আক্রান্তকে সনাক্ত করেছেন চিকিৎসকরা। অর্থাৎ এই মুহূর্তে কলকাতায় বিপদের আশঙ্কা কিঞ্চিৎ বেড়েছে।
এবছর সরস্বতী পুজোয় তোলা মেরাকের ছবি (পায়েল দে-র ফেসবুক প্রোফাইল থেকে)
তাই ২০ মার্চ সকালেই নিমন্ত্রিতদের বিশেষ বার্তা পাঠিয়ে ভোজ পিছিয়ে দেওয়ার কথাটি জানিয়েছেন পায়েল ও দ্বৈপায়ন। ''এটা শুধু তোমার-আমার সমস্যা নয়। সারা বিশ্ব জুড়ে যা হচ্ছে এবং যে সতর্কবার্তা সরকার থেকে দেওয়া হচ্ছে, সেই সব সতর্কতার কারণেই এই সিদ্ধান্ত। অনুষ্ঠান মানেই তো অনেক মানুষের একসঙ্গে হওয়া। সেটা এই মুহূর্তে কাম্য নয়। কিন্তু ঠিক কতদিন এই সতর্কতা মেনে চলতে হবে সেটাও এখনও স্পষ্ট নয় আমাদের কাছে। তাই সব ভেবেচিন্তেই আমরা ঠিক করলাম যে সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে গেলে, তবেই আমরা মেরাকের জন্মদিন সেলিব্রেট করব'', ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা-কে জানালেন পায়েল।