সম্ভবত নভেম্বরে অথবা আগামী মাসের গোড়াতেই আসছে নতুন বঙ্কিমী উপন্যাস অবলম্বনে ধারাবাহিক-- 'কপালকুণ্ডলা'। এই ধারাবাহিকের মোশন পোস্টারে সদ্য দেখা গেল কপালকুণ্ডলা-র অবয়ব। তার পরেই সোশাল মিডিয়ায় শুরু হল জল্পনা-- কে এই অভিনেত্রী? অভিনেত্রী যে নিতান্তই কিশোরী, সেটা তাঁর মুখমণ্ডল দেখলেই বোঝা যায়। তাই প্রথমেই নেটিজেনদের একাংশ তাঁকে নতুন মুখ বলেই ভাবেন। কিন্তু টেলিপাড়ার গুঞ্জন বলছে, অভিনেত্রী একেবারেই নতুন নয়।
একাধিক সূত্রের খবর, 'কপালকুণ্ডলা'-র ভূমিকায় দেখা যাবে সৌমি চট্টোপাধ্যায়কে, আকাশ ৮-এর ধারাবাহিক 'দীপাবলির সাতকাহন'-এর দীপা চরিত্রের অভিনেত্রীকে। এই ধারাবাহিকে দীপাবলির বয়সের একটা জার্নি রয়েছে। প্রথম যখন ধারাবাহিকটি শুরু হয় তখন চরিত্রটি নেহাতই কিশোরী। সেই কিশোরী বয়সের দীপার ভূমিকাতেই দেখা গিয়েছিল সৌমিকে। সম্ভবত, জুলাই মাস নাগাদ সৌমির অভিনয়ের অংশটি শেষ হয়।
আরও পড়ুন: মানুষের কাছে টিভিটা অনেক আপন: প্রতীক সেনের বিশেষ সাক্ষাৎকার
তবে টেলিপর্দায় সৌমির ডেবিউ হয়েছে আরও আগে, আরও কম বয়সে। ২০১৭ সালে রূপসী বাংলা-র 'ফুলি' ধারাবাহিক দিয়েই সম্ভবত তার টেলিপর্দার জার্নি শুরু হয়। 'দীপাবলির সাতকাহন'-ও একটি সাহিত্য-আশ্রিত ধারাবাহিক-- সমরেশ মজুমদারের 'সাতকাহন'-এর টেলি-অ্যাডাপ্টেশন। কিন্তু 'কপালকুণ্ডলা' হল বাংলা সাহিত্যের এমন একটি ক্লাসিক যাকে বাংলা উপন্যাস রচনার ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন বলে গণ্য করা হয়। তাই যে কোনও অভিনেত্রীর কাছেই এই চরিত্রটি পাওয়া অনেকটা স্বপ্নপূরণের মতো।
সৌমির অভিনয় ইতিমধ্যেই প্রশংসিত টেলিজগতে এবং দর্শকের মধ্যেও। তাই 'কপালকুণ্ডলা'-র চরিত্রে তার সুঅভিনয় দর্শক দেখতে পাবেন, এমনটাই আশা। এই ধারাবাহিক দিয়েই আবার টেলিপ্রযোজনায় ফিরছেন রাজ চক্রবর্তী। 'কপালকুণ্ডলা-'র প্রযোজক সংস্থা হল রাজ চক্রবর্তী প্রোডাকশনস, এমনটাই জানা গিয়েছে টেলিপাড়ার বিশ্বস্ত সূত্রে।
স্টার জলসা-র 'বেদেনি মলুয়ার কথা' এবং কালারস বাংলা-র 'কাজললতা'-র পরে বেশ খানিকটা সময় ধারাবাহিক প্রযোজনা থেকে দূরে থেকেছে এই সংস্থা। যদিও জি বাংলা অরিজিনালস প্রযোজনার কাজ থেমে থাকেনি। তবে এই প্রজেক্টটি নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। একে তো বঙ্কিমী উপন্যাস, তার উপর সদ্য শেষ হয়েছে 'দেবী চৌধুরাণী', যার রেশ এখনও দর্শকের মাথায় পুরোপুরি বিদ্যমান।
তাই কপালকুণ্ডলা দেখতে বসে বার বার 'দেবী চৌধুরাণী' ধারাবাহিকের কথা মনে পড়বে দর্শকের, অনেকে হয়তো মনে মনে তুলনাও করে ফেলবেন। তাই পরিচালক থেকে অভিনেত্রী, কাজটা সবার কাছেই অত্যন্ত কঠিন। আশা করা যায় এই ধারাবাহিকটিও 'দেবী চৌধুরাণী'-র মতোই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে।