সুরের আকাশে নক্ষত্রপতন। চিরবিদায় জানানো হল সঙ্গীতশিল্পী এসপি বালাসুব্রহ্মণ্য়মকে। শনিবার প্রিয় গায়ককে শেষশ্রদ্ধা জানাতে ভিড় জমান তাঁর বহু অনুগামী। থিরুভাল্লুর জেলার থমারাইপাকম গ্রামে শিল্পীর শেষকৃত্য় সম্পন্ন করা হয়। তামিলনাড়ু পুলিশের তরফে তাঁকে গান স্য়ালুটে বিদায় জানানো হয়। বাবার শেষকৃত্য়ের কাজ সম্পন্ন করেন পুত্র এসপি চরণ। শিল্পীকে শেষশ্রদ্ধা জানান তামিল চলচ্চিত্র জগতের বহু গণ্য়মান্য় ব্য়ক্তি।
প্রায় এক মাসেরও বেশি সময় ধরে লড়াইয়ের পর হার মানেন বালাসুব্রহ্মণ্য়ম। শুক্রবার চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ার হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সঙ্গীতশিল্পী। তাঁর মৃত্যুর খবর জানান তাঁর ছেলে এস পি চরণ। মৃত্য়ুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে অগাস্ট মাসের ৫ তারিখ হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। কিন্তু সেপ্টেম্বরের ৪ তারিখ তাঁর কোভিড রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। গত ২৪ সেপ্টেম্বর তাঁর শারীরিক অবনতির কথা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাঁকে সর্বোচ্চ লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বহু পুরস্কারে ভূষিত বালাসুব্রহ্মণ্য়ম গিনেস বুকে নাম তুলেছিলেন কেরিয়ারে ৪০ হাজারেরও বেশি গান গেয়ে। তামিল, তেলুগু, কন্নড়, মালয়ালম এবং হিন্দি-সহ ১৬টি আঞ্চলিক ভাষায় তিনি গান গেয়েছেন।
আরও পড়ুন: “সাংস্কৃতিক জগত আরও দরিদ্র হয়ে গেল”, বালাসুব্রহ্মণমের প্রয়াণে শ্রদ্ধার্ঘ মোদীর
পাঁচ দশকের সুরেলা কেরিয়ারে শ্রেষ্ঠ গায়ক হিসাবে ছ'বার জাতীয় পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।হিন্দি ছবি ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’, ‘রোজা’তে তাঁর গাওয়া গান কোনওদিন ভোলার নয়। গানের পাশাপাশি অভিনয় দিয়েও তিনি ভক্তদের মন জয় করেছিলেন। বহু ছবিতে তাঁর অভিনয় দক্ষতা ফুটে উঠেছিল।
২৫ বার নন্দী অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তিনি। ২০০১ সালে সঙ্গীতে তাঁর অবদানের জন্য ভারত সরকার তাঁকে পদ্মশ্রী এবং ২০১১ সালে তাঁকে পদ্মভূষণ সম্মানে সম্মানিত করে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন