/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/03/Silicon-Valley-Bank.jpg)
২০০৮ সালে যখন লেহম্যানের পতনের ফলে বিশ্বব্যাপী আর্থিক সংকট বিশ্বব্যাপী ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে বিপর্যস্ত করেছিল, তখন ভারত ছিল ব্যাংকিং ক্ষেত্রের নিরাপদ আশ্রয়স্থল। দেশীয় ব্যাংকগুলো শক্তিশালী এবং কঠোর নিয়ন্ত্রণের জেরে ভারতের আর্থিক সক্ষমতাকে তুলে ধরেছিল। এবারও কি তেমন দৃঢ়তা দেখাতে পারবে ভারতীয় ব্যাংকগুলো? সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিবি) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সিগনেচার ব্যাংকের গত সপ্তাহেই পতন ঘটেছে।
ভারতীয় ব্যাংকগুলো প্রভাবিত হয়নি
তবে, এখনও পর্যন্ত আর্থিক খাতে বিশ্বব্যাপী আন্তঃসংযোগ থাকা সত্ত্বেও ভারতীয় ব্যাংকগুলো ওই দুই মার্কিন ব্যাংকের পতনের জেরে প্রভাবিত হয়নি। কিন্তু, শীর্ষস্থানীয় ভারতীয় ব্যাংকগুলো, বিশেষ করে অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে বিনিয়োগের দুনিয়ায় যে ব্যাংকগুলো রীতিমতো গুরুত্বপূর্ণ, তাদের ক্ষেত্রেও কি ভবিষ্যৎটা আগের মতই নিরাপদ? বিশেষ করে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের পতনের পরও? বিশেষজ্ঞরা কিন্তু অতটা নিশ্চিত নন।
কেন নিরাপদ
তবে, সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের ব্যর্থতার কারণগুলো ভারতে কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ, দেশীয় ব্যাংকগুলোর ব্যালেন্স শিট কাঠামো ভিন্ন ধরনের। এক প্রবীণ ব্যাংক কর্তা বলেছেন, 'ভারতে, আমাদের এমন কোনও ব্যবস্থা নেই যেখানে সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের মত বিনিয়োগ করা যেতে পারে।' এর অন্যতম কারণ, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যাংক আমানতের একটি বড় অংশ আসে কর্পোরেটদের কাছ থেকে, ভারতে কিন্তু পরিবারের সঞ্চয়গুলোই ব্যাংকের মূল আমানতের পিছনে।
আরও পড়ুন- অকথিত কাশ্মীর: হারিয়ে যাওয়া প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের খোঁজ মেলেনি, ধুলো জমেছে এফআইআরে
ব্যাংকের আধিকারিকরা বলছেন, এদেশে সাধারণ আমানতের একটি বড় অংশই যায় সরকারি ব্যাংকে। অবশিষ্ট আমানত হয় এইচডিএফসি ব্যাংক, আইসিআইসিআই ব্যাংক অ্যাক্সিস ব্যাংকের মত অত্যন্ত শক্তিশালী বেসরকারি ব্যাংকে। সুতরাং, গ্রাহকদের তাঁদের সঞ্চয় নিয়ে মোটেও উদ্বিগ্ন হওয়ার দরকার নেই। তাছাড়া যখনই ব্যাংকগুলো কোনও সমস্যার পড়েছে, সরকার তাদের সহায়তায় এসেছে। এক ব্যাংক আধিকারিক এই প্রসঙ্গে বলেন, 'ব্যাংকিংয়ে আত্মবিশ্বাস একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বাসযোগ্যতা যদি ১০০ শতাংশ হয়, তবে কোনো মূলধনের প্রয়োজন নেই। আর, বিশ্বাস হারিয়ে গেলে কোনও মূলধনই আপনাকে বাঁচাতে পারবে না।'