মধ্যে বয়ে গিয়েছে ডিনিপ্রো নদী। তার একপাশে রুশ, অন্যপাশে ইউক্রেনের বাহিনী। মঙ্গলবার সেই বাঁধ কেউ বা কারা উড়িয়ে দিয়েছে। উভয়পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে দোষ দিচ্ছে। তবে, রুশ বাহিনীর কর্তাদের একাংশের অভিযোগ, বাঁধটি দুর্বল ছিল। কারণ, সোভিয়েত জমানায় তৈরি। তারপর ঠিকঠাক রক্ষণাবেক্ষণ হয়নি। তার জেরেই ধসে পড়েছে। কারণ, যাইহোক। বাঁধটি ধ্বংস হওয়ায় বিস্তীর্ণ অঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। বন্যায় এলাকার পর এলাকা ভেসে গিয়েছে।
কাখোভকা বাঁধ
৩০ মিটার (৯৮ ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট এবং ৩.২ কিমি (২ মাইল) লম্বা বাঁধটি ১৯৫৬ সালে কাখোভকা জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের অংশ হিসেবে ডিনিপ্রো নদীর ওপর নির্মিত হয়েছিল। এই জলাধার থেকে ক্রিমিয়া উপদ্বীপেও জল সরবরাহ হত। এই ক্রিমিয়া উপদ্বীপ ২০১৪ সালে রাশিয়া দখল করেছে। পাশাপাশি, জাপোরিঝিয়া পরমাণু কেন্দ্রেও এই বাঁধ থেকে জল যেত। এই পরমাণু কেন্দ্র বর্তমানে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। বিশাল এই জলাধারের আয়তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইউটা রাজ্যের লবণহ্রদের সমান।
ইউক্রেনের দাবি
ইউক্রেন প্রথমে বলেছিল যে রাশিয়া এই বাঁধ ভাঙার জন্য দায়ী। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি মেসেজি অ্যাপ টেলিগ্রামে লিখেছেন, 'রুশ জঙ্গিরা। কাখোভকা জলবিদ্যুৎ বাঁধের ধ্বংস গোটা বিশ্বের কাছে নিশ্চিত করছে যে ইউক্রেনের জমির প্রতিটি প্রান্ত থেকে তাদের (রাশিয়া) বহিষ্কার করা উচিত।' ইউক্রেন সেনার দক্ষিণ কমান্ড আবার বলেছে, 'কাখোভকা (জলাধার) রাশিয়ার দখলদার বাহিনী উড়িয়ে দিয়েছে। এর জেরে ধ্বংসের মাত্রা, জলের গতি, ধ্বংসের ক্ষয়ক্ষতি, প্লাবিত এলাকাগুলো চিহ্নিত করার কাজ চলছে।'
আরও পড়ুন- ইউএফও সম্পর্কে তথ্য গোপন? বড় অভিযোগ প্রাক্তন মার্কিন গোয়েন্দা কর্তার
রাশিয়ার দাবি
রাশিয়ার বাহিনী আবার গোটা ঘটনায় ইউক্রেন সেনাকে দোষ দিয়েছে। জাপোরিঝজিয়ায় রুশ বাহিনীর আধিকারিক ভ্লাদিমির রোগভ বলেছেন, দীর্ঘদিনের সেতু। আগেই দুর্বল হয়ে পড়েছিল। জলের চাপে সেই কারণে বাঁধটি ভেঙে পড়েছে। এমনটা দাবি করেছে রাশিয়ার সরকারি সংবাদ সংস্থা তাসও। আবার রুশ বাহিনীর একাংশ এই বাঁধ ভেঙে যাওয়ার পিছনে ইউক্রেন সেনাকে দায়ী করেছে। রাশিয়ার তৈরি করা খেরসন প্রশাসন জানিয়েছে যে ইউক্রেন রাত প্রায় ১১টার সময় বাঁধটিতে গোলাবর্ষণ করেছে। যার ফলে বাঁধটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।