এবার গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি)-এর অধীনে অনলাইন গেমিং, ক্যাসিনো এবং রেসিংয়ের কত শতাংশ জিএসটি হতে পারে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। বিষয়টির জন্য গঠিত মন্ত্রীগোষ্ঠী ২৮ শতাংশ জিএসটির সুপারিশ করতে চলেছে। তা এগুলোকে খেলা, সুযোগ বা দক্ষতা- যে তকমাই দেওয়া হোক না-কেন।
অনলাইন গেমের জিএসটি বাড়তে পারে
অনলাইন গেমিং বর্তমানে ২,২০০ কোটি টাকারও বেশি জিএসটি দিচ্ছে। বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের সমীক্ষায় এমনটাই জানা গিয়েছে। তবে, মন্ত্রিগোষ্ঠী নয়। জিএসটি ঠিক কত শতাংশ লাগু হবে, সেই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে জিএসটি পরিষদ। কারণ, মন্ত্রিপরিষদে এনিয়ে মতপার্থক্য আছে। মঙ্গলবারই (২২ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে তাঁরা বৈঠক করেছেন। বৈঠকে জুনে জিএসটি পরিষদের সিদ্ধান্ত নিয়েও আলোচনা হয়েছে। এরপরই অনলাইন গেমের জিএসটি বৃদ্ধির সুপারিশ করা হয়েছে।
করোনা আবহে বাজার বেড়েছে
বর্তমানে অনলাইন গেমিং, শুধুমাত্র গেমিং প্ল্যাটফর্মের ফি হিসেবেই ১৮ শতাংশ জিএসটি দেয়। পুরস্কারের মূল্য-সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে অর্থ দেয় না। করোনা অতিমারীর সময়ই অনলাইন গেমিংয়ের বাজার বেড়েছে। এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, ২০২৪-২৫ সালের মধ্যেই অনলাইন গেমের বাজার বেড়ে ২৯ হাজার কোটি টাকা হতে চলেছে। ২০২০-২১-এ এটা ছিল মাত্র ১৩,৬০০ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন- হায় কপাল! দায়িত্ব নেওয়ার একমাস পরই বিপাকে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী
মন্ত্রিসভা কী বলছে?
মন্ত্রিসভার সদস্যরা সব রাজ্যেই ২৮ শতাংশ করের পক্ষে সওয়াল করেছেন। তবে, এনিয়ে বিভিন্ন রাজ্যের মধ্যে মতভেদ আছে। যেমন, পশ্চিমবঙ্গ এবং উত্তরপ্রদেশ চাইছে মোট মূল্যের ওপর জিএসটি আরোপ হোক। সেখানে গোয়া আবার ক্যাসিনোগুলোয় প্রবেশের ক্ষেত্রেও আলাদাভাবে করের সুপারিশ করেছে।
অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক
যাই হোক, চূড়ান্ত রিপোর্টে সব রাজ্যেই মতামতই স্থান পাবে। তা-ই পরবর্তী সময়ে জিএসটি পরিষদের সামনে তুলে ধরা হবে। জুনে জিএসটি পরিষদের শেষ বৈঠক হয়েছিল। তারপর আর হয়নি। এই পরিস্থিতিতে বিভিন্ন রাজ্যের অর্থমন্ত্রীরা শুক্রবার কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে দেখা করবেন। সেখানেই জিএসটি সম্পর্কিত বিষয়গুলো সামনে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
Read full story in English