দেশের ৭০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক করোনা টিকার দুটি ডোজই পেয়ে গিয়েছেন। ৩ জানুয়ারি থেকে দেশজুড়ে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হয়। ইতিমধ্যেই দেশের ৪৬ শতাংশ কিশোর-কিশোরীও করোনা টিকার প্রথম ডোজটি পেয়ে গিয়েছেন। শিশুদের টিকাকরণ শুরুর দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে তাদের প্রথম ডোজ দেওয়া হয়ে গিয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি ১৫-১৮ বছর বয়সী জনসংখ্যার প্রত্যেকের টিকাকরণ অগ্রাধিকার হিসেবে দেখছে সরকার। ১৫-১৮ বছর বয়সীদের সিংহভাগের টিকাকরণ হয়ে গেলেই টিকা নিতে বয়সসীমা আরও কমানো হবে। সেক্ষেত্রে ১৫ বছরের নীচে থাকা শিশুরাও করোনা টিকা নিতে পারবে।
আগামী সপ্তাহগুলিতে কোভিড টিকাকরণ অভিযানে দুটি নতুন লক্ষ্য স্থির করে এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার, এমনই খবর পেয়েছে দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। রবিবারই করোনার টিকাকরণ অভিযানের এক বছর পূর্ণ হয়েছে। দেশের প্রতি ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিকের মধ্যে সাত জনই টিকার দুটি ডোজ পেয়েছেন।
টিকাকরণ অভিযানে যুক্ত প্রত্যেককে অভিনন্দন জানিয়ে গতকাল টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। দেশজুড়ে করোনার টিকাকরণ অভিযান নিয়ে এবার আরও দুটি লক্ষ্য ধরে এগোতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমটি হল, ভ্যাকসিনের 'মিশ্রন' সম্পর্কে বৈজ্ঞানিক তথ্যের আরও অন্বেষণ করা। দ্বিতীয়টি হল, ১৫ বছরেরও কম বয়সী শিশুদের জন্য টিকা দেওয়ার কথা বিবেচনা করা।
ন্যাশনাল টেকনিক্যাল অ্যাডভাইসরি গ্রুপ অন ইমিউনাইজেশন (NTAGI) টিকা নীতির জন্য সরকারকে বৈজ্ঞানিক তথ্য দেয়। একটি সূত্র জানাচ্ছে, করোনা টিকার প্রথম দুটি ডোজ থেকে ভিন্ন একটি প্ল্যাটফর্মের উপর ভিত্তি করে একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করার বিষয়ে উন্নত ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডেটা পরীক্ষা করবে NTAGI।
কেন্দ্রের এক কর্তা এপ্রসঙ্গে বলেন, ''প্রাথমিক কাজ যা NTAGI বর্তমানে করছে তা হল, বিদ্যমান গোষ্ঠীগুলির মধ্যে একটি ভিন্নধর্মী পদ্ধতির দিকে নজর দেওয়া। NTAGI-এর কোভিড-১৯-এর উপর কাজ করা গ্রুপটি হেটেরোলজাস ক্লিনিকাল ট্রায়াল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানগুলির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগে রয়েছে। জানুয়ারি মাসের শেষের দিকে ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেলের কাছে তথ্য জমা দেওয়া হতে পারে।''
আরও পড়ুন- ‘টিকা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে শক্তি জুগিয়েছে’, টিকাকরণের বর্ষপূর্তিতে টুইট মোদীর
একটি সূত্র আরও জানাচ্ছে, দেশের ১৫-১৮ বছর বয়সী শিশুদের সিংহভাগের টিকাকররণে জোর দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। তার পরেই ১৫-এর কম বয়সীদের টিকাকরণ শুরু হবে। কেন্দ্রের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ''NTAGI বয়স্কদের থেকে শুরু করে শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য একটি সাধারণ সুপারিশ করেছে। সেই সুপারিশ মেনেই সরকার প্রথমে ১৫-১৮ বছর বয়সীদের টিকাকরণের সিদ্ধান্ত নেয়। একবার আমরা ১৫-১৮ বছর বয়সীদের একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে টিকা দিয়ে দিতে পারলেই টিকার বয়সসীমা আরও কমানো হবে।''
Read full story in English