Mark Carney On India Canada Relation: ক্ষমতার পালাবদল কানাডায়। জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হতে চলেছেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি। তিনি ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক নিয়ে বড় বিবৃতি দিয়েছেন। ট্রুডো ভারতের সঙ্গে সম্পর্ককে গুরুত্ব দেননি। কিন্তু কার্নি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন যে তিনি সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি করবেন না। বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রী ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করবেন। যা দু'দেশের অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে।
ট্রাম্পের মতো, কানাডার নতুন প্রধানমন্ত্রীও কি অবৈধ ভারতীয়দের দেশ থেকে বহিষ্কার করবেন?কানাডার পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি অভিবাসন ইস্যুতে একটি বড় বিবৃতি দিয়েছেন। তাঁর নিশানায় আমেরিকাও। কানাডার লিবারেল পার্টির নতুন নেতা এবং পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে বিশেষ ভাবে আগ্রহী, তবে তাঁর অভিবাসন নীতি ভারতীয়দের উপর প্রভাব ফেলতে পারে।
যদিও মার্ক কার্নি এখনও অভিবাসন নীতি নিয়ে কোনও সুনির্দিষ্ট বিবৃতি দেননি। বর্তমানে কানাডার জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল আমেরিকার সঙ্গে চলমান শুল্ক যুদ্ধ। তিনি তাঁর বিজয়ী ভাষণে, অভিবাসন ইস্যুতে কোনও মন্তব্য করেননি, তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাণিজ্য যুদ্ধ এবং কানাডাকে আমেরিকার ৫১তম রাজ্য হওয়ার পরামর্শ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্টভাবে বলেন, 'একেবারে না!'
'ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নত করতে চাই'
মার্ক কার্নি ভারতের সাথে সম্পর্ক উন্নত করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। এর আগে, জাস্টিন ট্রুডোর আমলে ভারত ও কানাডার মধ্যে সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অবনতি ঘটে। খালিস্তানি সন্ত্রাসবাদী হরদীপ সিং নিজ্জরের হত্যাকাণ্ডে ভারতীয় এজেন্টরা জড়িত ট্রুডো অভিযোগকে কেন্দ্র করে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে পৌঁছায়। তবে ভারত এই অভিযোগগুলিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। ব্যাংক অফ ইংল্যান্ডের প্রাক্তন গভর্নর কার্নি অটোয়ার বাণিজ্যিক সম্পর্ককে বৈচিত্র্যময় করতে এবং নয়াদিল্লি সহ অন্যান্য দেশের সাথে বাণিজ্য বৃদ্ধির উপর মনোযোগ দিতে বিশেষ ভাবে আগ্রহী।
এর মাঝেই মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মেক্সিকো এবং কানাডার উপর ট্যারিফ বৃদ্ধির বিষয়ে সতর্ক করেছেন, যা বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে তুলতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তার প্রতিবেশী দেশ মেক্সিকো এবং কানাডাকে স্পষ্ট সতর্ক করে দিয়েছেন যে ২রা এপ্রিল থেকে তাদের বিরুদ্ধে শুল্ক আরোপ করা হতে পারে এবং সময়ের সাথে সাথে এটি আরও বাড়তে পারে।