ভারতীয় জওয়ানদের মৃত্যু এবং লাদাখের অস্থির পরিস্থিতির মাঝেই চলল বায়ুসেনাদের প্যারেড। তবে কি আকাশপথে এবার কোনও সংঘর্ষের ইঙ্গিত রয়েছে ভারত-চিন সীমান্তে? চিফ অফ এয়ার স্টাফ, বায়ুসেনা প্রধান মার্শাল আর কে বাহাদুরিয়া বলেন, "সীমান্তের সুরক্ষার জন্য সশস্ত্র বাহিনীকে সবসময়ই সজাগ এবং প্রস্তুত থাকতে হয়।"
এরই মধ্যে হায়দ্রাবাদে এয়ার ফোর্স অ্যাকাডেমিতে কম্বাইন গ্র্যাজুয়েশন প্যারেড হয় শনিবার। বায়ুসেনা বিভাগের বিভিন্ন শাখায় প্রাক-প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় সফলভাবে। যদিও বায়ুসেনা প্রধানের কথায়, "প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় যেটা হয়েছে সেটা একটা ছবির ক্ষুদ্র অংশ। আমাদের কীভাবে অল্প সময়ে পুরো বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে সেটির ভাবনা রাখতে হবে।"
আরও পড়ুন, চিনকে উচিত শিক্ষা দেওয়া হয়েছে, ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকতেই পারেনি চিনা সেনা: মোদী
এয়ার মার্শাল বাহাদুরিয়া বলেন, "ভারত-চিন সামরিক আলোচনা ও সমঝোতার পরও চিনের পদক্ষেপে যেভাবে প্রাণহানি হল তা মেনে নেওয়ার মতো না হলেও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় বর্তমানে পরিস্থিতি শান্তিপূর্ণ রাখতে সবরকম প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।" তিনি আরও বলেন, "এটা স্পষ্ট হওয়া উচিত যে এরকম কোনও পরিস্থিতি হলে আমরা সবরকমভাবে প্রস্তুত আছি কি না এবং প্রতিক্রিয়া জানাতে আমরা সেনা মোতায়েন করার কাজ সঠিকভাবে করতে পারছি কি না।" দেশবাসীকে আশ্বস্ত করে বাহাদুরিয়া বলেন, "গালওয়ানে আমাদের বীর জওয়ানদের লড়াই বৃথা যাবে না। যেতে দেব না। আমরা এ বিষয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ।"
এই বায়ুপ্রশিক্ষণ শিবিরের মাধ্যমে বায়ুসেনার বিভিন্ন শাখায় মহিলা ক্যাডেট এবং তরুণ অফিসারদের ট্রেনিং দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাঁরাও দেশের প্রয়োজনে দেশের দায়িত্ব নিজের কাজে নিতে পারেন, এমনটাই জানান বায়ুসেনা প্রধান। অনুষ্ঠিত এই ফ্লাইট ক্যাডেট প্রশিক্ষণে মেধার ভিত্তিতে 'রাষ্ট্রপতির ফলক'-সহ 'সোর্ড অফ অনার'ও দেওয়া হয়। করোনা আবহে সমস্ত রকম সুরক্ষা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনেই এই প্রশিক্ষণ চলে। দূরদর্শন এবং সোশাল মিডিয়ায় এই প্যারেডের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়েছিল।
Read the story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন