/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/07/nupur-sharma-ajmer-salman-chishti.jpg)
নূপুর শর্মা, খাদিম সলমন চিস্তি
বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নুপুর শর্মার বিরুদ্ধে উস্কানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে পুলিশ আজমেঢ় দরগার ধর্মগুরু খাদিম সলমন চিস্তিকে গ্রেফতার করেছে।
সম্প্রতি চিস্তির একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যার প্রেক্ষিতে সোমবার রাতে দরগার 'খাদিম'-এর বিরুদ্ধে একটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। ওই ভিডিওতে সলমন চিস্তি নূপুর শর্মার শিরচ্ছেদের নিদান দিয়েছেন। বলেছেন, বহিষ্কৃত বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার মাথা কেটে যে আনবে তাকেই তিনি তাঁর বাড়ি দিয়ে দেবেন। চিস্তিকে বলতে শোনা যায় যে, নবী মহম্মদকে অবমাননার জন্য নূপুর শর্মীকে তিনি গুলি করে মারবেন।
পুলিশ জানিয়েছে, চিস্তি মদ্যপ অবস্থায় ওই ভিডিওটি করেছিলেন। আজমেঢ়ের সহকারী পুলিশ সুপার বিকাশ সাংওয়ান জানান, খাদিম মহল্লা চিস্তির বাড়ি থেকেই মঙ্গলবার রাতে তাঁকে গ্রেফচার করা হয়েছে। চিস্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
Rajasthan | Ajmer Police arrested Salman Chishti, Khadim of Ajmer Dargah last night for allegedly giving a provocative statement against suspended BJP leader Nupur Sharma: Additional Superintendent of Police, Vikas Sangwan pic.twitter.com/6U3WCjVar7
— ANI MP/CG/Rajasthan (@ANI_MP_CG_RJ) July 6, 2022
সলমন চিস্তির ভিডিওটির নিন্দা করেছেন আজমেঢ় দরগার দেওয়ান জয়নুল আবেদিন আলি খান। তাঁর অফিসের তরফে বলা হয়েছে, মাজারটিকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জায়গা হিসাবে দেখা হয়। ভিডিওতে 'খাদিম' যে মতামত প্রকাশ করেছেন তা দরগার বার্তা হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না।
এর আগে, ১৭ জুন আজমের দরগার প্রধান ফটকে আরেকটি উস্কানিমূলক বক্তব্যের অভিযোগে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
মহা নবীর বিরুদ্ধে শর্মা মন্তব্যের প্রেক্ষিতে উদয়পুরের হিন্দু সম্প্রদায়ের এক দর্জি কানহাইয়া লালকে হত্যাকরেছিল দুষ্কৃতীরা। হামলাকারীরা অন্য একটি ভিডিওতে নিজেদের পরিচয় দেয় মহম্মদ রিয়াজ এবং ঘৌস মোহাম্মদ। কানহাইয়া লালের "শিরচ্ছেদ" নিয়ে গর্ব করে ওই দুষ্কৃতীরা। পরে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গত সপ্তাহে, সুপ্রিম কোর্ট মহা নবী সম্পর্কে তাঁর মন্তব্যের জন্য নূপুর শর্মাকে তিরস্কার করে। দিল্লি সহ তাঁর বিরুদ্ধে বিভিন্ন রাজ্যে হওয়া এফআইআরগুলিকে একযোগে শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে আর্জি জানিয়েছিলেন শর্মা। সেই আবেদন গ্রহণে অস্বীকার করেছিল শীর্ষ আদালত। আদালত নির্দেশে জানায়, পয়গম্বর মন্তব্যের প্রেক্ষিতে "দেশে যা ঘটছে তার জন্য এককভাবে দায়ী নূপুর শর্মা। দেশের কাছে তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত। কোনও শর্ত সাপেক্ষে নয়, টিভি-তে তাঁর ক্ষমা চাওয়া দরকার।"