গো হত্যা রোধে বিল পাস হল কর্নাটক বিধানসভায়। কংগ্রেস বিধায়কদের প্রবল বিরোধীতার মাঝেও এই বিল পাস হয়ে যায়। বিলের নামকরণ করা হয়েছে, গবাদিপশু রোধ ও সংরক্ষণ বিল ২০২০। বিধানসবায় বিলটি পেস করেন মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা।
বিধানসভায় পাস হওয়া বিল আইনে পরিণত হলে কর্নাটকে গো হত্য়া পুরোপুরি নিষিদ্ধ হবে। এছাড়া গো-পাচারকারী বা গরু হাত্যায় অপরাধীদের কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হবে।
বর্তমান আইন অনুসারে ১২ বছরের বেশি বয়স্ক গরু বা মোষদেরই জবাই করার অনুমতি ছিল। পাশাপাশি, প্রজননে অক্ষম বা দুধ না দিতে পারা গরু-মোষরাও জবাইয়ের আওতায় ছিল।
এর আগে ২০১০ সালে কার্নাটকের ক্ষমতায় থাকার সময় বিজেপি সরকার গো-হত্যা বিরোধী বিল পাস করেছিল। প্রস্তাবিত বিলে কষাইয়ের বিরুদ্ধে কোর্ট ওয়ারেন্ট ছাড়াই গ্রেফতারের সংস্থান, অপরাধীর এক থেকে সাত বছরের কারাদন্ডের বিধান ছিল। এছাড়া অপরাধীকে ২৫ হাজার থেকে ১ লক্ষ পর্যন্ত আর্থিক জরিমানা করার কথা বলা হয়েছিল। গরুর পাল নিয়ে যাওয়াও অপরাধ বলে গন্য হয়েছিল।
তবে, ২০১৩ সালে কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে পাস হওয়া সেই বিলটিকে রাজ্যপালের সম্মতির জন্য পাঠানো হয়নি।
দিনের শুরুতে পশুপালনমন্ত্রী প্রভূ চাবন বিলটি পেশ করেন। সঙ্গে সঙ্গেই সিদ্দারামাইয়ার নেতৃত্বে ওয়েলে নেমে প্রতিবাদে সরব হন কংগ্রেস বিধায়করা। প্রস্তাবিত বিল নিয়ে বিজনেস অ্যাডভাইজরি কমিটিতে অলোচনার আগেই তা পেশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ কংগ্রেস বিধায়কদের। সিদ্দারামাইয়া বলেন, 'আমাদের বলা হয়েছিল নতুন বিল পেশ করা হবে না। শুধু এ সংক্রান্ত অধ্যাদেশ পাস করা হবে। কিন্তু হঠাৎই মন্ত্রী গবাদিপশু রোধ ও সংরক্ষণ বিল ২০২০ বিধানসভায় পেশ করলেন।'
কংগ্রেসের এই দাবি অবশ্য নস্যাথ করেছেন কর্নাটক বিধানসভার স্পিকার ভিএইচ কাগেরি।
বিল পেশের সময় উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটে এই ধরণের আইনের উল্লেখ করেন কর্নাটকের পশুপালনমন্ত্রী চবন। সম্প্রতি সেই আইনের নানা দিক ও বাস্তব প্রয়োগ দেখতে ওই দুই রাজ্যেও গিয়েছিলেন ইয়েদুরাপ্পা মন্ত্রিসভার এই সদস্য।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন