হিজাব বিতর্কের মধ্যেই সোমবার থেকে কর্ণাটকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত খুলে গেল স্কুল। বহু স্কুলে মুসলিম ছাত্রীদের হিজাব খুলে ক্লাসে আসতে বলা হয়েছে। বেশ কিছু স্কুল থেকে এমনই খবর পাওয়া গেছে। এদিকে, মুসলিম ছাত্রীরা হিজাব পরে থাকলে তাদের ক্লাসে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে স্কুলগুলির তরফে।
মাণ্ড্যতে রোটারি এডুকেশনাল সোসাইটি স্কুলে শিক্ষকরা ছাত্রীদের হিজাব খুলে ক্লাসে ঢুকতে বাধ্য করেছে বলে খবর। অনেক শিক্ষক এবং স্কুলকর্মীকেও হিজাব খুলে স্কুলে আসতে বলা হয়েছে। অভিভাবকদেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যেন তাঁদের সন্তানদের হিজাব না পরিয়ে স্কুলে পাঠায়। বেলাগাভির সরকারি স্কুলে শিক্ষক এবং কর্মীরা স্কুলের গেটে দাঁড়িয়ে মুসলিম ছাত্রীদের বোরখা এবং হিজাব না পরে ঢুকতে বলছেন।
কর্ণাটকের কোডাগু জেলার একটি স্কুলে অন্তত ৩০ ছাত্রীকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয় যখন তারা হিজাব খুলতে অস্বীকার করে। শিবামোগা জেলায় কেপিএস স্কুলের দশম শ্রেণির ১০ জন এবং নবম শ্রেণির ২ ছাত্রী হিজাব খুলতে রাজি না হওয়ায় তাদের স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। উদুপি জেলায় যেখানে গত মাসে হিজাব নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত হয়েছিল, সেখানে প্রথম দিন স্বাভাবিক রয়েছে স্কুলে ছাত্রীদের সংখ্যা। এমনটাই জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। উদুপিতে মুসলিম ছাত্রীরা স্কুলচত্বরে হিজাব খুলেই ঢুকেছে বলে খবর।
জেলার তহসিলদার প্রদীপ কুরুদেকর বলেছেন, "আমি বেশ কিছু স্কুল পরিদর্শন করেছি। সেখানে দেখেছি মুসলিম পড়ুয়ারা নিয়ম মেনে হিজাব খুলে ক্লাসে ঢুকেছে। স্কুলচত্বরের বাইরে কোনওরকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে।"
আরও পড়ুন কর্নাটক থেকে হিজাব বিতর্ক এবার পৌঁছে গেল কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়েও
সোমবার সবর্ত্রই শান্তি বজায় ছিল। কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এদিকে, রাজ্য সরকার ঘোষণা করেছে আগামিকাল, ১৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত উদুপি এবং অন্যান্য জেলায় কলেজগুলি বন্ধ থাকবে। তবে উত্তর কর্ণাটকে অন্য ছবি দেখা গিয়েছে। বহু স্কুলে শিক্ষকরা ছাত্রীদের হিজাব পরেই ক্লাসে পড়ার অনুমতি দিয়েছেন।