ঘুম উড়িয়েছে ওমিক্রন। ডেল্টা প্রজাতির থেকেও তিন গুণ বেশি সংক্রামক এই স্ট্রেনকে নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের। মঙ্গলবার উদ্বিগ্ন কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে কড়া বিধিনিষেধ জারি করার নির্দেশ দিল। যে সমস্ত জেলায় সংক্রমণের হার বেশি সেখানে নাইট কার্ফু, কোভিড বিধিনিষেধ বাধ্যতামূলক, বড় জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করার নির্দেশ দিল কেন্দ্র।
কেন্দ্র রাজ্যগুলিকে ওয়ার রুম সক্রিয় করার জন্য এবং ট্রেন্ড ও সংক্রমণ বৃদ্ধির উপর নজর রাখার কথাও বলেছে। ওমিক্রনের সংক্রমণ বৃদ্ধির লক্ষণ এবং রিপোর্ট পেলেই বিশেষ পদক্ষেপ করার জন্য রাজ্যগুলিকে পরামর্শ দিয়েছে কেন্দ্র। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ এই নির্দেশিকা দিয়েছেন। কারণ, গতকালই দেশে ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা ২০০ পার করেছে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, সাতটি রাজ্যে ওমিক্রন এখন দুই সংখ্যা পার করেছে। রাজ্যগুলি হল, মহারাষ্ট্র (৫৪), দিল্লি (৫৪), তেলেঙ্গানা (২০), কর্ণাটক (১৯), রাজস্থান (১৮), কেরল (১৫) এবং গুজরাট (১৪)। রাজ্যগুলিকে চিঠিতে ভূষণ লিখেছেন, জেলাস্তরে জনসংখ্যার ভিত্তিতে ক্রমান্বয়ে সংক্রমণ বৃদ্ধির তথ্যের উপর নজর রাখতে হবে। ভৌগলিক ভাবে সংক্রমণ, হাসপাতালের পরিকাঠামো এবং তার ব্যবহার, ম্যানপাওয়ার, কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা, এবং সেই জোনে কোভিড বিধি কার্যকর করা। জেলাস্তরে বিশেষ পদক্ষেপ করতে সক্ষম হতে হবে। স্থানীয় স্তরে সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেই জন্য রণনীতি গ্রহণ করতে হবে, যাতে গোটা রাজ্যে তা না ছড়ায়।
আরও পড়ুন দেশে ওমিক্রন আক্রান্ত বেড়ে ২০০, অধিকাংশ সংক্রমিতই দুই রাজ্যের বাসিন্দা
কেন্দ্রের পরামর্শ, জেলা স্তরে কনটেনমেন্ট পদক্ষেপ ও বিধিনিষেধ আরোপ করতে হবে। যদি জেলার গত এক সপ্তাহে সংক্রমণ বৃদ্ধির হার ১০ শতাংশ বা তার বেশি হয়। এবং যদি হাসপাতালে অক্সিজেন সাপোর্টে থাকা আইসিইউ বেড ৪০ শতাংশ ভর্তি থাকলে সতর্ক হতে হবে। যদিও স্থানীয় স্তরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে ওমিক্রনের সংক্রামক ক্ষমতা মাথায় রেখে কাজ করতে হবে। পরিসংখ্যান বাড়ার আগেই রাজ্যগুলি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন