জি-২০ শীর্ষবৈঠক শেষে ব্যক্তিগত আলাপচারিতায় কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর কোনও সমালোচনা করেননি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। বুধবার এক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশিত হয়েছে। তাতে শোনা গিয়েছে, চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এক দোভাষীকে নিয়ে ট্রুডোর সঙ্গে কথা বলছেন। ওই দোষাভীর জিনপিঙের বক্তব্য অনুবাদ করে ট্রুডোকে বলছেন, 'যা কথা হচ্ছে, আপনি সব বাইরে বলে দিচ্ছেন, এগুলো ঠিক না।'
এই কথোপকথনের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর গোটা বিশ্ব উত্তাল হয়ে ওঠে। শি কি আসলে এসব বলে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে ধমকালেন? সমালোচনা করে চাপে রাখতে চাইলেন? এই প্রশ্নও তোলেন অনেকে? তারপরই বৃহস্পতিবার চিনের পক্ষ থেকে বিষয়টির ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করা হল। চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং বেজিঙে সাংবাদিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানেই তিনি বোঝানোর চেষ্টা করেন যে বেজিং পরস্পরের প্রতি সমান মনোভাব রেখে খোলাখুলি আলোচনা পছন্দ করে।
একইসঙ্গে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র জানান, তাঁদের আশা যে কানাডাও চিনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নত করার চেষ্টা করবে। মাও নিং বলেন, 'যে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে, তা জি২০ বৈঠকে দুই রাষ্ট্রনেতার আলোচনার সংক্ষিপ্ত অংশ। এটা অত্যন্ত স্বাভাবিক ব্যাপার। আমার মনে হয়, চেয়ারম্যান শি কারও সমালোচনা করছেন বা কাউকে অভিযুক্ত করছেন, এমনটা ধরে নেওয়াটা সঠিক নয়।'
আরও পড়ুন- জি২০-তে বন্ধু রাষ্ট্রনেতাদের অকাতরে উপহার দিলেন মোদী, কার ভাগ্যে কী জুটল?
চিনের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র যতই বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করুন না-কেন, ভিডিওয় শি জিনপিঙকে মান্দারিন ভাষায় কথা বলতে শোনা গিয়েছে। সেখানে তিনি পরিষ্কার বলেছেন, 'এটা ঠিক না। আমরা কিন্তু, এমনটা করিনি।' তারপরে শি বলেছেন, 'যদি আন্তরিকতা থাকে, আমরা পরস্পরের প্রতি শ্রদ্ধার সঙ্গে ভালো যোগাযোগ রাখতেই পারি। না-হলে ফলাফলটা কী হবে, সেটা সহজে বলা যাবে না।' এসব কথা ঘুরিয়ে হুমকি বা অভিযোগ করা ছাড়া কী? এই নিয়ে চিনের বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিনিধির কাছে অন্যান্য দেশের সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেছিলেন। কিন্তু, তিনি কোনও জবাব দেননি।
Read full story in English