গোরক্ষপুরের মন্দিরে হওয়া হামলাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে উত্তাল গোটা উত্তরপ্রদেশ। ঘটনার মূল অভিযুক্ত মুর্তাজা আহমেদ আব্বাসিকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে দফায় দফায় জেরা করেছে লখনউ পুলিশের তদন্তকারী শাখা তথা এটিএস। পুলিশ সূত্রে আগেও ইঙ্গিত মিলেছিল জঙ্গি যোগাযোগের।
এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি প্রমাণিত হল। ইতিমধ্যেই লখনউ পুলিশের তদন্তকারী শাখা তথা এটিএস দাবি করেছে ধৃত মুর্তাজা আহমেদ আব্বাসির সঙ্গে আইএসআইএস যোগাযোগ ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে।
আব্বাসের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে একটি বিদেশি সিম কার্ড। পুলিশের ধারণা ওই সিম কারডের মাধ্যেমেই সে দেশ বিদেশের একাধিক জঙ্গি সংঘঠনের সঙ্গে ঘনিষ্ট যোগাযোগ রেখে চলত। আব্বাসের ল্যাপটপ থেকেও পাওয়া গিয়েছে একাধিক জঙ্গি সংগঠনের প্রকাশ করা ভিডিও।
সেখানে রয়েছে আইএস ও আল কায়দার একাধিক ভিডিও। এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে একাধিক ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠীর কর্মসূচীকে অনুসরণ করত আব্বাস। এর পাশাপাশি ধৃতের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট, ই-ওয়ালেট এবং আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত একাধিক নথি তদন্তকারীদের হাতে উঠে এসেছে।
আরও পড়ুন: ‘স্বামীর তিন স্ত্রী চান না কোনও মুসলিম মহিলা’, UCC চেয়ে সওয়াল মুখ্যমন্ত্রীর
লখনউ পুলিশের এক শীর্ষ কর্তা জানিয়েছেন, ধৃতের কাছ থেকে যে সকল নথি উদ্ধার করা হয়েছে তাতে তার সঙ্গে সন্ত্রাস বাদী সংগঠন আইএসাইএসের যোগাযোগ স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। পাশাপাশি তার একাধি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে ধৃত আব্বাসি ইউরোপ এবং আমেরিকার বিভিন্ন দেশে আইএসআইএস সমর্থকদের সাহায্যে প্রায় ৮.৫ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছেন।
একই সঙ্গে বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী ভিডিওতে আসক্ত ছিলেন আব্বাসি। তদন্তে দেখা গেছে ২০১৩ থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে যুক্ত ছিলেন তিনি। এই হামলার পরে গোরক্ষপুর মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে।
মন্দিরের সামনেই বসানো হয়েছে বুলেট প্রুফ পোস্ট। এছাড়াও মন্দির প্রাঙ্গণে নিরাপত্তা রক্ষীর সংখ্যাও প্রায় দ্বিগুণ করা হয়েছে। সব মিলিয়ে আরও আঁটোসাঁটো হয়েছে গোরক্ষপুর মন্দিরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।