Advertisment

দাভোলকর হত্যা মামলায় দুই অভিযুক্তের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন খারিজ আদালতে

আইনজীবী ধর্ম রাজ চাণ্ডেল আদালতে বলেন, দুই অভিযুক্ত তদন্ত সহযোগিতা করা সত্ত্বেও ১০ দিনেও মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

কালাসকরের হেফাজতের মেয়াদবিৃদ্ধির আবেদন গৃহীত

নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যাকাণ্ডে সিবিআই তদন্তের অগ্রগতি নিয়ে প্রশ্ন তুলল পুনের এক আদালত। গৌরী লঙ্কেশ হত্যাকাণ্ডে দুই অভিযুক্ত নরেন্দ্র দাভোলকর হত্যাকাণ্ডে যুক্ত বলে দাবি করেছে সিবিআই। ওই দুই অভিযুক্ত তাদের হেফাজতে রাখার যে আর্জি কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা জানিয়েছিল, তাও নাকচ করেছে আদালত। ধৃতদের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

Advertisment

অমিত দিগওয়েকর ও রাজেশ বাঙ্গেরাকে কর্নাটক পুলিশের বিশেষ তদন্তদল গৌরী লঙ্কেশ হত্যা মামলায় গ্রেফতার করেছিল। শরদ কালাসকরকে গ্রেফতার করেছিল মুম্বই এটিএস। নালাসোপারা অস্ত্র ও বিস্ফোরক মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়। সিবিআই এই তিনজনকে পুনে আদালতে পেশ করে তাদের হেফাজতে রাখার সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি পেশ করে।

দাভোলকর হত্যায় যে দুজন শুটার ছিল, তাদের একজন শারদ কালাসকর, এমনটাই বক্তব্য সিবিআই-এর। তাকে ১৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সিবিআই হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে ম্যাজিস্ট্রেট এস এম এ সৈয়দ দিগওয়েকার এবং বাঙ্গেরার সিবিআই হেফাজতে রাখার মেয়াদবৃদ্ধির অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করেছেন।

৬৭ বছর বয়সী নরেন্দ্র দাভোলকরকে ২০১৩ সালের ২০ অগাস্ট পুনেতে খুন করা হয়। গৌরী লঙ্কেশ বেঙ্গালুরুতে খুন হন ২০১৭ সালের ৫ সেপ্টেম্বর। দাভোলকর হত্যা মামলায় সিবিআই এখনও পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে।

সনাতন সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা ইএনটি সার্জন বীরেন্দ্র তাওড়েকে দাভোলকর খুনের পাণ্ডা বলে মনে করছে সিবিআই। তাকে ২০১৬ সালের জুন মাসে গ্রেফতার করা হয়েছে। গৌরী লঙ্কেশ হত্যায় ধৃত অমোল কালে-কে দাভোলকর হত্যাকাণ্ডের আরেক গুরুত্বপূর্ণ ষড়যন্ত্রী বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। কালাসকর এবং শচীন আনদুরে দাভোলকরের উপর গুলি চালিয়েছিল বলে জানিয়েছে সিবিআই, অন্যদিকে দিগওয়েকার এবং বাঙ্গেরা এই ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল বলে মনে করা হচ্ছে।

দিগওয়েকার এবং বাঙ্গেরার হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন জানিয়ে সিবিআইয়ের আইনজীবী বিজয়কুমার ধাকনে বলেন, ষড়যন্ত্রে যুক্ত ছিল দিগওয়েকর এবং বাঙ্গেরা অস্ত্র প্রশিক্ষকের কাজ করত। কিন্তু সিবিআইয়ের আবেদনপত্র এবং তদন্তের কেসডায়েরি পড়ে বিচারক সৈয়দের পর্যবেক্ষণ তদন্ত অগ্রগতির পরিমাণ নামমাত্র।

বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ধর্ম রাজ চাণ্ডেল আদালতে বলেন, দুই অভিযুক্ত তদন্ত সহযোগিতা করা সত্ত্বেও ১০ দিনেও মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি। সিবিআই ১০ দিন আগে আদালতে যা বলেছিল, এদিনও তাই বলছে বলে দাবি করেন তিনি।

তবে শারদ কালাসকরের সিবিআই হেফাজতের মেয়াদবৃদ্ধির আবেদন স্বীকার করেছে আদালত। সিবিআই জানিয়েছে, বাঙ্গেরা মহারাষ্ট্র এবং কর্নাটকের মোট ৬টি জায়গায় শুটারদের ট্রেনিং দিয়েছিল। দিগওয়েকার এবং বাঙ্গেরাকে কর্নাটকের জেল হেফাজতে ফিরিয়ে নিয়ে য়াওয়া হবে।

Hindu Janajagruti Samiti
Advertisment