হরিয়ানায় ২ যুবককে জ্যান্ত পুড়িয়ে মারার ২ দিন কেটে যাওয়ার পর রাজস্থান গ্রামে কার্যত বিক্ষোভ চলে। গরুপাচারকারী সন্দেহেই ২ মুসলিম যুবককে পুড়িয়ে মারার অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনায় পরিবারের তরফে পুলিশ ও বজরং দলের সমর্থকদের দায়ি করা হয়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে তারা আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিল। শুক্রবার সন্ধ্যায় ভরতপুর পুলিশ জানিয়েছে পরিবারের এফআইআর-এর ভিত্তিতে একজনকে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করে হয়েছে। জানা গিয়েছে ধৃতের নাম রিঙ্কু সাইনি।
হরিয়ানায় দুই মুসলিম যুবককে জীবন্ত পুড়িয়ে মারার ঘটনায় পুলিশ ও বজরং দলের বিরুদ্ধেই সুর চড়িয়েছেন পরিবারের লোকজন। নিহতের ২জনের পরিবারের অভিযোগ, পুলিশই নিহত দুজনকেই ‘বজরং দলের’ লোকজনের হাতে তুলে দেয়, পরে তারাই গরু পাচারকারী সন্দেহে একটি বোলেরো গাড়ির ভিতর তাদের পুড়িয়ে হত্যা করে।
নিহত ২ যুবক জুনাইদ এবং নাসিরের মৃতদেহ বুধবার ভিওয়ানির লোহারু গ্রামের কাছে পাওয়া যায়। পরিবারের অভিযোগ, পুলিশই জুনায়েদ ও নাসিরের বোলেরোটিকে তাড়া করে ধরে ফেলে। এরপর তাদের ২জনকে মারধরও করে। অসুস্থ অবস্থায় বজরং দলের লোকজনের হাতে তাদের তুলে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: < ভালবেসে বিয়ে করেও খুন! নিক্কি হত্যার তদন্তে নেমে বুক কেঁপে উঠল দিল্লি পুলিশের >
নিহত জুনায়েদের বয়স ৩৫ বছর এবং নাসিরের বয়স ২৮ বছর। দুজনেই রাজস্থানের ভরপুর জেলার ঘটমিকা গ্রামের বাসিন্দা। এই গ্রামটি হরিয়ানা সীমান্তের একেবারে কাছেই অবস্থিত। জুনায়েদের ভাই ইসমাইল বুধবার গোপালগড় থানায় (ভরতপুর) অপহরণের মামলা দায়ের করেছেন। ঘটনার পর রাজস্থানের ভিওয়ানি ও ভরতপুর জেলার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। পাশাপাশি নিহত দুজনের দেহের নমুনা সংগ্রহ করে তাদের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।
একদিকে যেখানে পরিবারের লোকজন পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ করছে, অন্যদিকে পুলিশ অভিযোগকে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে। পুলিশ বলছে, ঘটনার সঙ্গে পুলিশের কোন সম্পর্ক নেই। পুলিশ অভিযুক্তদের কাউকেই ধরেনি বা বজরং দলের লোকদের হাতে তুলে দেয়নি। এই ঘটনায় বজরং দলের নেতা মনু মানেসার, রিংকু সাইনি সহ আরও ৭ থেকে ৮ জনের নাম সামনে আসছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখার কাজ করছে।