অবিলম্বে রাজ্যপালকে সরান, সংঘাতের আবহে রাষ্ট্রপতিকে পিটিশন ডিএমকে-র। তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন দল ডিএমকে এবং তার সহযোগীরা রাজ্যের রাজ্যপালকে অপসারণের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে দাবি জানিয়েছে। রাজ্যপাল আরএন রবির বিরুদ্ধে 'রাজ্যে সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ উস্কানি দেওয়ার' অভিযোগ আনা হয়েছে। রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে ডিএম দ্বারা জমা দেওয়া স্মারকলিপিতে, রাজ্যপালকে 'শান্তির পথে বাঁধা' হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।
ডিএমকে এবং সহযোগীরা রাষ্ট্রপতিকে বলেছে যে রাজ্যপাল তামিলনাড়ু বিধানসভায় পাস করা বিলগুলি অনুমোদনে অযথা বিলম্ব করেন। তারা গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে জনগণের জন্য কাজ করতে বাধা দিয়েছে। এটাও বলা হয়েছে যে রাজ্যপাল সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষকে উস্কানি দেন এবং তিনি রাজ্যের শান্তির পথে প্রধান বাঁধা। তিনি প্রমাণ করেছেন, যে তিনি সাংবিধানিক পদে থাকার যোগ্য নন, তাকে অবিলম্বে বরখাস্ত করা উচিত।
স্মারকলিপিতে আরও বলা হয়েছে, ‘তার বক্তব্যকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার সঙ্গেও তুলনা টানা যেতে পারে, কারণ রাজ্যপাল বিবৃতি দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিচ্ছিন্নতার পরিবেশ তৈরি করে চলেছেন।' ডিএমকে এই মাসের শুরুতে সাংসদের উদ্দেশ্যে লেখা একটি চিঠিতে, "সংবিধানের বিরুদ্ধে কাজ করার" জন্য আরএন রবিকে রাজ্যপালের পদ থেকে অপসারণের প্রস্তাবকে সমর্থন করার জন্য তাকে আবেদন করে। দলের তরফে জানান হয় তাঁর কাজ এবং বিবৃতি প্রমাণ করেছে যে তিনি সাংবিধানিক পদের জন্য "অযোগ্য" । ডিএমকে স্মারকলিপিতে স্বাক্ষর করার জন্য সাংসদদের কাছে আবেদনও করে।
আরও পড়ুন : < জোটের ভাবনা ছেড়ে একক লড়াইয়ের প্রস্তুতি ISF-এর, পঞ্চায়েতের আগে রাজ্য সম্মেলন >
সংবিধান অনুযায়ী শুধুমাত্র দেশের রাষ্ট্রপতিই রাজ্যপালকে নিয়োগ বা অপসারণ করতে পারেন। রাজ্য মন্ত্রিসভা অনুমোদনের জন্য কোনো বিল পাঠালে রাজ্যপাল তা একবার ফেরত পাঠাতে পারেন। মন্ত্রিসভা বিলটি আবার রাজ্যপালের কাছে পাঠালে তিনি তা ফেরত পাঠাতে পারবে না। তামিলনাড়ু ছাড়াও দক্ষিণের দুই রাজ্য কেরালা ও তেলেঙ্গানায় রাজ্যপাল ও শাসক দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছে। রাজ্যের শাসক দলের নেতারা এই রাজ্যপালদের "কেন্দ্রের পুতুলের মতো" আচরণ করার অভিযোগ করেছেন। ডিএমকে’র তরফে বলা হয়েছে, “তেলেঙ্গানার রাজ্যপালের তামিলনাড়ুতে রাজনীতি করা উচিত নয়। এটা তাঁর কাজ নয়। তিনি পদত্যাগ করুন এবং তারপর তামিলনাড়ুর মাটিতে রাজনীতি করুন”।