বড়দিনের উৎসব পালনের সময় খ্রিস্টান স্কুলে ঢুকে গন্ডগোল করার অভিযোগ উঠল হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের বিরুদ্ধে। গুরুগ্রামে ক্রিসমাস ইভের সময় অনুষ্ঠানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে পতৌডির এসবিডি পাবলিক স্কুলে।
পতৌডি থানার শীর্ষ পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, "একটি ভিডিও ক্লিপ দেখে আমরা ঘটনার কথা জানতে পারি। স্কুল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু মানুষকে স্কুল চত্বরে অনুষ্ঠান করার অনুমতি দেয়। তার পর সেখানে কিছু মানুষ আসেন, এবং স্লোগান দিতে শুরু করেন। তাঁরা ভেবেছিলেন, সেখানে ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল। এর পর স্কুলের মালিক তাঁদের অনুরোধ করতে তাঁরা সেখান থেকে চলে যান। আমরা কোনও অভিযোগ পাইনি।"
পতৌডিতে ধর্ম জাগৃতি মিশনের প্রধান আর পি পাণ্ডে জানিয়েছেন, বুধবার এক মহিলা তাঁর বাড়ির দরজায় ধাক্কা দেন এবং শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান।
তাঁর অভিযোগ, "শুক্রবার দুপুর তিনটে নাগাদ আমরা জানতে পারি, বড়দিন উৎসব পালনের নামে সেখানে ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল। তার পর সেখানে গিয়ে আমরা দেখি কী হচ্ছে। এক ঘণ্টা ধরে আমরা অনুষ্ঠান দেখি। পরে দেখলাম সেখানে তাঁরা শিশুদের মগজধোলাই করছেন এবং খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণের জন্য বোঝাচ্ছেন। তখন আমরা হস্তক্ষেপ করি। আমরা এধরনের কাজকর্ম সফল হতে দেব না।"
ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, পাণ্ডে আচমকা মঞ্চে উঠে মাইক তুলে নেন এবং জমায়েতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "আমরা খ্রিস্টকে অসম্মান করছি না। কিন্তু আমরা এই শিশুদের বলতে চাই, আইনত এসব করলে সমস্যা নেই। কিন্তু ধর্মান্তকরণের চেষ্টা বা ভারতীয় সংস্কৃতিকে নষ্ট করার চেষ্টায় বাধা দেব আমরা।। তোমাদের এটাকে রক্ষা করার অঙ্গীকার নিতে হবে। তাই সেই অঙ্গীকার নাও এবং জয় শ্রী রাম ধ্বনি দাও।"
ভিডিওতে অনেককেই দেখা গিয়েছে, জয় শ্রী রাম ধ্বনি দিতে। প্রাক্তন আরএসএস সদস্য এবং বিজেপি নেতা নরেন্দর সিং পাহাড়ি বলেছেন, প্রতিবাদীদের অভিযোগ ছিল এটা ক্রিসমাস উৎসব নয়, ধর্মান্তকরণ হচ্ছিল ওখানে। যাজককে এনে অনেক টাকা খরচ করে এসব হচ্ছিল। গরিবদের নিশানা করে এসব করা হচ্ছিল। প্রতিবাদের জেরে উদ্যোক্তা রবি কুমার অনুষ্ঠান বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন।
আরও পড়ুন করিনা-সইফের ছেলের নাম কী? ছোটদের পরীক্ষায় প্রশ্ন, স্কুলকে শো-কজ নোটিস
তিনি ধর্মান্তকরণের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। বলেছেন, "এটা সাধারণ একটা বড়দিনের উৎসব হচ্ছিল। কোনও ধর্মীয় পাঠ দেওয়া হচ্ছিল না। ৫৫ জন মানুষ সেখানে ছিলেন। বিশেষত মহিলা এবং শিশুরা খ্রিস্টান ধর্মের মানুষ ছিলেন। বিকেল চারটে নাগাদ ১০০-র বেশি মানুষ এসে জমায়েত নিয়ে আপত্তি তোলেন এবং অনু্ষ্ঠান বন্ধ করার হুমকি দেন। কেউ কেউ মঞ্চে উঠে জয় শ্রী রাম স্লোগান দিতে শুরু করেন এবং ধর্মান্তকরণের অভিযোগ তোলেন।"