বিয়ের পর পারিবারিক কারনে অনেক মেয়েদেরই তাদের নানান স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যায় । কিন্তু প্রগতি ভার্মা এমনই এক মহিলা যিনি বিয়ের পর তার অপূর্ণ স্বপ্নকে পূরণ করেছেন। আর লাখ লাখ মানুষের কাছে হয়ে উঠেছেন এক অনুপ্রেরণা।
কথায় আছে ইচ্ছে থাকলে উপায় হয়! অদম্য জেদ আর ইচ্ছাশক্তিকে সম্বল করে জীবনের কঠিন পরীক্ষা ইউপিএসসি-তে উত্তীর্ণ হয়ে সকলকে চমকে দিয়েছে প্রগতি। স্বামী-সন্তান পরিবারকে সামলেও যে ইচ্ছাপূরণ করা সম্ভব তার জলজ্যান্ত উদাহরণ হয়ে উঠেছেন তিনি।
স্বপ্ন ছিল IAS হওয়ার। স্বপ্নকে সত্যি করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেছেন তার স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন। প্রগতির শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস আধিকারিক। তিনি মনেপ্রাণে চেয়েছিলেন বৌমা IAS অফিসার হোক। সেই লক্ষ্যে তিনি বাড়িতে প্রতিদিন প্রগতিকে নিয়মিত গাইড করেছেন। পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এতে অবদান রেখেছিলেন। প্রগতির তিন বছরের একটি ছেলেও রয়েছে।
ইউপিএসসিতে পাস করে প্রগতি জানিয়েছেন, 'তার স্বপ্ন ছিল ইউপিএসসি পরীক্ষায় পাশ করা। তিনি এমবিবিএস ও এমডি সম্পন্ন করেন ইতিমধ্যেই। এই সময়ে, তার বিয়েও হয়ে যায়। তিনি ভেবেছিলেন তাঁর UPSC-এর স্বপ্ন শেষ হয়ে গিয়েছে। কিন্তু বিয়ের পরে, তার এই স্বপ্ন পূরণে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও তাকে অনুপ্রাণিত করেন। বিশেষ করে তাঁর শ্বশুর, যিনি নিজে একজন অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার'।
দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন প্রগতি। তিনি পড়াশোনার জন্য খুব বেশি সময় পান নি। কারণ তার একটি তিন বছরের সন্তান রয়েছে। পড়াশুনার জন্য দিনে মাত্র পাঁচ থেকে ছয় ঘন্টা সময় বের করেই বাজিমাত করেন প্রগতি। UPSC পরীক্ষায় ৩৫৫ তম স্থান অর্জন করে সকলকে চমকে দিয়েছেন। তার স্বামী ডাঃ অতুল ভার্মা যিনি পেশায় একজন রেডিওলজিস্ট তিনিও সবসময় প্রগতিকে উৎসাহ দিয়ে গিয়েছেন।