কুন্নুরে দগ্ধ Mi-17V5 চপারে থেকে যখন একের পর এক সেনাকর্তার দেহ উদ্ধার হচ্ছে তখন একজনের শ্বাসপ্রশ্বাসই আশার আলো দেখিয়েছিল। তিনি গ্রুপ ক্যাপটেন বরুণ সিং। চপার দুর্ঘটনায় গুরুতর যখম এই সেনা কর্মী বর্তমানে ওয়েলিংটন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। ভারতীয় বায়ুসেনার তরফে বিবৃতিতে একথা জানানো হয়েছে। তাঁর দ্রুত আরোগ্য কামনা করেছেন গোটা দেশ। টুইটে একই প্রার্থনা করেছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং।
গ্রুপ ক্যাপ্টেন বরুণ সিং এবছর স্বাধীনতা দিবসে রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে শৌর্য চক্র পেয়েছিলেন। ২০২০ সালের অক্টোবর মাসে তেজস যুদ্ধ বিমানকে রক্ষার জন্য তিনি এই বিশেষ পদক পান। ক্যাপটেন বরুণ সিং তামিলনাডুর ওয়েলিংটনে ডিফেন্স সার্ভিসেস স্টাফ কলেজের ডাইরেক্টিং স্টাফ।
কী ঘটেছিল গত বছর অক্টোবরে?
নিয়মমাফিক মহড়ার সময় একটি তেজস যুদ্ধবিমানে প্রযুক্তিগত সমস্যা দেখা দেয়। মাটিতে থেকে তখন অনেকটা উঁচুতে উড়ছিল বিমানটি। সেই সময় হঠাৎই বিমানের লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বন্ধ বিকল হয়ে যায়। লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম বিমানের মধ্যেকার বায়ুর চাপ নিয়ন্ত্রণ করে। সমস্যাটি বুঝতে পেরেই ক্রমশ নিচু উচ্চতা দিয়ে বিমানটি চালাতে শুরু করে ক্যাপটেন বরুণ সিং। কিন্তু বিমানের নিয়ন্ত্রণ প্রযুক্তি হাতের বাইরে চলে যায়। ক্রমশ নিচে নামতে থাকে বিমানটি। তার মধ্যেও বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে বিমানটি অক্ষত অবস্থায় মাটিতে অবতরণ করিয়েছিল বরুণ। এই সাহসিকতার জন্যই তাঁকে পুরস্কৃত করা হয়।
এদিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত চপারের ব্ল্যাক্স বক্স মিলেছে। মাটিতে পড়ার আগেই চপারে আগুন ধরে যায় বলে সূত্রের খবর। কেন চপারটি দুর্ঘটনার শিকার হল? আপাতত উদ্ধার হওয়া ব্ল্যাক বক্স থেকেই তা জানার চেষ্টা হবে।
আরও পড়ুন- সামরিক পণ্ডিত এবং দাপুটে সেনানী! ফিরে দেখা দেশের প্রথম CDS বিপিন রাওয়াতকে
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন