অমরনাথ যাত্রীদের মন খারাপ। গুহার মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে গলে গেছে শিবলিঙ্গ। এখনও অক্ষত রয়েছেন 'মাতা পার্বতি'-র বরফ স্তূপ, কিন্তু অমরনাথের শিব দর্শন হলো না তীর্থযাত্রীদের।
প্রত্যেকদিন প্রায় ৫,০০০ তীর্থযাত্রী অমরনাথ যাত্রা করেন। ‘শিবলিঙ্গ গলে গেলেও এখন অবধি অটুট রয়েছে মাতা পার্বতীর আকৃতি। কিন্তু তাতেও কেন হাজার হাজার লোক রওনা দিচ্ছেন অমরনাথের পথে? কারণ তীর্থযাত্রীদের কাছে গুহাটিই একটি তাৎপর্যপূর্ণ ধর্মীয়স্থান। এমনটাই জানিয়েছেন অমরনাথ ক্যাম্পের ডিরেক্টর শচীন জামওয়াল।
তীর্থযাত্রীরা গুহায় উপাসনা করছেন, কিন্তু তাতে নেই বরফের শিবলিঙ্গ। চলতি বছর ২8 জুনের পর থেকে তীর্থযাত্রা শুরু হওয়ার পর, ২৬ দিনের মধ্যেই ২ লক্ষেরও বেশি তীর্থযাত্রী গুহা পরিদর্শন করেছেন। সংস্থা থেকে জানানো হয়েছে, ২৬ অগাস্টের মধ্যে প্রায় ৩ লক্ষ তীর্থযাত্রী গুহা পরিদর্শন করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
কিন্তু কেন গলে গেল অমরনাথের বরফের শিবলিঙ্গ ?
প্রত্যেক বছর প্রায় ৪ লক্ষ লোকের আনাগোনা হয় অমরনাথে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এবছর পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় অমরনাথ গুহায় তাপমাত্রা ছিল বেশি। এইটি লিঙ্গ গলে যাওয়ার প্রথম কারণ হতে পারে, কিন্তু আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হল মানুষের গায়ের তাপ। গতবছর থেকে বন্ধ ছিল অমরনাথ যাত্রা। ২৪ জুন থেকে প্রত্যেকদিন হাজার হাজার মানুষ রওনা দিচ্ছেন অমরনাথের উদ্দেশ্যে। ফলে অধিক তীর্থযাত্রীদের ঢলে এলাকায় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। তীর্থযাত্রীরা এখানে এসে বড়ো বড়ো স্টোভ জ্বালিয়ে রান্না করেন, যার থেকে উৎপন্ন তাপও বরফ গলার আরেকটি কারণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। এছাড়া অবশ্যই দোষের ভাগীদার গ্লোবাল ওয়ার্মিংও।