গত ২৮ মাস ধরে চলা ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত অচলাবস্থার মাঝেই বড় ঘোষণা রাশিয়ার। রাশিয়া স্পষ্টভাবে বলেছে যে ভারত ও চিনের মধ্যে চলমান সীমান্ত সংঘাতে কোন ভাবেই রাশিয়া নাক গলাবে না। সীমান্ত সংঘাত উভয় দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয় এবং রাশিয়া তা থেকে নিজেকে দূরে রাখবে। পাশাপাশি এই বিষয় নিয়ে আমেরিকাকেও এদিন কটাক্ষ করেছে রাশিয়াও।
ভারত ও চিনের মধ্যে চলমান সীমান্ত ইস্যু নিয়ে মন্তব্য প্রসঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ডেনিস আলিপভ বলেছেন, “আমরা ভারত ও চিনের মধ্যে সীমান্ত সংক্রান্ত ইস্যু নিয়ে মাথা ঘামাতে চাই না। এটা দু’ দেশের দ্বিপাক্ষিক বিষয়। আমরা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বিরোধ নিষ্পত্তিতে জড়াতে চাই না। আমরা শুধু সীমান্ত সংক্রান্ত বিরোধের দ্রুত ও শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজতে ভারত ও চিন দু’দেশকেই উৎসাহিত করছি”।
ডেনিস আলিপভ আরও বলেছেন যে রাশিয়া সীমান্ত ইস্যু নিয়ে দু’দেশের বিরোধ সম্পর্কে সচেতন। "ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর কিছুদিন আগেই এক বিবৃতিতে বলেন, এশিয়ার ভবিষ্যৎ ভারত ও চিনের সুসম্পর্কেও ওপরেই রয়েছে। দু’দেশের সংঘর্ষের মধ্যে নয়” ।
S-400 এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম সম্পর্কে, রাশিয়ান রাষ্ট্রদূত এদিন বলেন “ভারত সময়মতো তা ডেলিভারি পাবে এবং এর সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতের কোন প্রশ্ন জড়িত নয় বলেও তিনি তার ভাষণে স্পষ্ট করেন।
আরও পড়ুন: < পাক প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের কড়া জবাব! সন্ত্রাসবাদ ইস্যুতে ইসলামাবাদকে তুলোধোনা ভারতের >
সম্প্রতি, ফরাসি প্রেসিডেন্ট রাষ্ট্রসংঘে রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত নিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদীর মনোভাবে ঢালাও প্রশংসা করেন। একই সঙ্গে আমেরিকা ও বিট্রেনও যুদ্ধ নিয়ে মোদীর মনোভাবের প্রশংসা করেছে। সেই নিয়েও রুশ রাষ্ট্রদূত খানিক অসন্তোষ প্রকাশ করে বলেছেন, “ পশ্চিমী দেশগুলো মোদীর মন্তব্যের ব্যাখ্যা নিজেদের মত করেই করে নিয়েছে”। একই সময়ে, তেল সরবরাহের বিষয়ে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, " G-7 দেশগুলির প্রস্তাবিত মূল্যে যদি যথাযথ না হয় তবে রাশিয়া বিশ্ব বাজারে তেল সরবরাহ বন্ধ করে দেবে”।