Jalgaon Train Accident: কী কারণে বেজে উঠল ফায়ার অ্যালার্ম? কীভাবে ঘটল মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ের মর্মান্তিক দুর্ঘটনা? খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে রেলের তরফে। মহারাষ্ট্রের জলগাঁও ট্রেন দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩। এর মধ্যে রয়েছেন চার নেপালিও।
বৃহস্পতিবার রেলের উর্ধতন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন এখনো পর্যন্ত ১০ জনের মৃতদেহ শনাক্ত করা হয়েছে। মধ্য রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক (সিপিআরও) ডঃ স্বপ্নীল নীলা বলেন ঘটনার তদন্তে ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন সেন্ট্রাল রেলের প্রিন্সিপাল চিফ সেফটি অফিসার (PCSO), প্রিন্সিপাল চিফ সিকিউরিটি কমিশনার (PCSC), প্রিন্সিপাল চিফ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (PCEE), প্রিন্সিপাল চিফ মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার (PCME) এবং প্রিন্সিপাল চিফ কমার্শিয়াল ম্যানেজার (PCCM) ।
গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। বুধবার নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মোদী এক্স-এর এক পোস্টে লিখেছেন, “মহারাষ্ট্রের জলগাঁওয়ে রেলপথে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় মর্মাহত। আমি দুর্ঘটনায় নিহত পরিবারের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করছি।"
রেল মন্ত্রক মৃতদের পরিবারকে ১.৫ লক্ষ টাকা, গুরুতর আহতদের জন্য ৫০,০০০টাকা, সামান্য আহতদের জন্য ৫,০০০ টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করেছে। পাশাপাশি মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নাবিশ নিহতদের পরিবারকে ৫ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন। এক্স-এ একটি পোস্টে তিনি লিখেছেন, “রাজ্য সরকার আহতদের সম্পূর্ণ খরচও বহন করবে। আহতদের দ্রুত আরোগ্যের জন্য ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করছি।”
রেলের তরফে দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, হঠাৎ করে চেইন টানার কারণেই ট্রেনটি দাঁড়িয়ে পড়ে। ব্রেক কষার কারণে ট্রেন থেকে ধোঁয়া বেরোয়। তবে ট্রেনটিতে আগুন লাগার কোন ঘটনায় ঘটেনি।" বুধবার কর্ণাটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মুম্বাইগামী পুষ্পক এক্সপ্রেসের ১৩ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়। জানা গিয়েছে অ্যালার্ম-চেইন টানার ঘটনার পর যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে লাইনে ঝাঁপ দেন। এর পরই উল্টো দিক থাকা আসা কর্ণাটক এক্সপ্রেসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় ১৩ যাত্রীর।