Nobel Peace Prize 2024: বিশ্বে ক্রমশ বাড়ছে পরমাণু যুদ্ধের শঙ্কা। ইতিমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে যুদ্ধ চলছে। যা থেকে পরমাণু যুদ্ধ ছড়ানোর আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে। ইতিমধ্যে বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশ পরমাণু অস্ত্রে বলীয়ান হয়ে উঠেছে। সেই কারণে এবারের নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হল পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়ার চেষ্টার অন্যতম কারিগর জাপানি সংগঠন নিহন হিদানকিও। ১৯৫৬ সালে তৈরি এই প্রতিষ্ঠান পরমাণু বোমা বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে কাজ করে চলেছে। সংগঠনটির আরও একটি নাম হল হিবাকুশা।
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, 'পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব গড়তে ক্ষতিগ্রস্তদের মাধ্যমে এই সংগঠন বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছে যে, পরমাণু অস্ত্র ব্যবহার করা উচিত নয়। ক্ষতিগ্রস্তদের মূল্যবান অভিজ্ঞতার মাধ্যমে শান্তির আশা জাগানোর চেষ্টার জন্য সংগঠনটিকে সম্মানিত করা হয়েছে। এই ক্ষতিগ্রস্তরা আমাদেরকে পরমাণু অস্ত্রের ফলে সৃষ্ট অবর্ণনীয় পরিস্থিতিকে বর্ণনা করতে, অকল্পনীয় পরিস্থিতিকে চিন্তা করতে এবং পরমাণু অস্ত্র দ্বারা সৃষ্টি হওয়া অসহনীয় যন্ত্রণাকে উপলব্ধি করতে সাহায্য করে চলেছে।'
আরও পড়ুন- দক্ষিণ কোরিয়া থেকে প্রথমবার সাহিত্যে নোবেল, পুরস্কার পাওয়ার কথা শুনে চমকে গেলেন কাং
নোবেল কমিটি জানিয়েছে, এবছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মোট ২৮৬টি আবেদন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ১৯৭টি ব্যক্তিগত। ৮৯টি ছিল প্রতিষ্ঠানগত। তার থেকে নোবেল কমিটি এবছরের জন্য নিহন হিদানকিও-কে বেছে নিয়েছে। বর্তমানে বিশ্বের নানা জায়গায় যুদ্ধ চলছে। ইউক্রেন থেকে আরবে যুদ্ধ, বিশ্বযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এই পরিস্থিতিতে পরমাণু বোমা প্রয়োগ হলে, কী ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে, তা যেন মনে করেই এবারের শান্তি পুরস্কার জাপানের ওই সংগঠনকে দেওয়া হল। এমনটাই মনে করছেন অনেকেই। পুরস্কার পাওয়ার খবরে আপ্লুত হয়ে নিহন হিদানকিওর সহকারি প্রধান তোশিউকি মিমাকি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, তাঁরা যে এই পুরস্কার পাবেন, কল্পনাতেও ভাবতে পারেননি।