অস্বস্তি বাড়ল কানহাইয়া কুমারের। দেশদ্রোহিতার অভিযোগে এবার কানহাইয়ার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের সম্মতি দিল দিল্লি সরকার। ২০১৬ সালে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের তৎকালীন ছাত্র সংসদের সভাপতি কানহাইয়া কুমার-সহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে দেশদ্রোহিতার মামলা দায়ের করা হয়েছিল। গত বছরের ৫ মে থেকে স্বরাষ্ট্র দফতরে এ সংক্রান্ত ফাইল পড়েছিল।
সূত্রের খবর, গত বছরের ১৪ জানুয়ারি কানহাইয়াদের নামে চার্জশিট পেশের ২ ঘণ্টা আগে দিল্লি সরকারকে আইনি প্রক্রিয়া শুরু করতে চেয়ে আবেদন করেছিল পুলিশ। কানহাইয়া কুমার এবং আরও ৯ জনের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২৪ এ (দেশদ্রোহিতা), ৩২৩ (জ্ঞাতসারে আহত করা), ৪৬৪ (জালিয়াতি), ৪৭১ (জাল নথিকে প্রামাণ্য নথি হিসেবে ব্যবহার), ১৪৩ (বেআইনি ভাবে জড়ো হওয়া), ১৪৯ (একই উদ্দেশ্যে বেআইনি ভাবে জড়ো হওয়া), ১৪৭ (দাঙ্গাহাঙ্গামা) এবং ১২০ বি ধারা প্রয়োগ করা হয়েছিল বলে জানা গিয়েছিল।
আরও পড়ুন: সিএএ নিয়ে অপপ্রচার করে হিংসা ছড়াচ্ছে বিরোধীরাই: শাহ
প্রসঙ্গত, সংসদ হামলায় আফজল গুরুর ফাঁসির প্রতিবাদে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি একটি কর্মসূচি করা হয়। ওই কর্মসূচি থেকেই দেশ বিরোধী স্লোগান তোলা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। যে ঘটনায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছিল। উল্লেখ্য, এ ঘটনায় দেশদ্রোহিতার অভিযোগে কানহাইয়া, খালিদ, অনির্বাণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে তিনজনই জামিনে মুক্ত হন। পরে এ ঘটনায় চার্জশিট পেশ করে দিল্লি পুলিশ। কানহাইয়া ছাড়াও চার্জশিটে একই সঙ্গে নাম ছিল জেএনইউয়ের উমর খলিদ এবং অনির্বাণ ভট্টাচার্যেরও।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন