রাষ্ট্রসংঘের সদ্য প্রকাশিত এক রিপোর্ট জানিয়েছে, ভারতের জনসংখ্যা চিনকেও ছাপিয়ে গিয়েছে। এর আগে ২০১১ সালে দেশে জনগণনা হয়েছিল। প্রতি ১০ বছর অন্তর জনগণনা হওয়ার কথা। সেই হিসেবে, পরবর্তী জনগণনা হওয়ার কথা ছিল ২০২১ সালে। কিন্তু, করোনা আবহে আর তা হয়ে ওঠেনি। এরপর জনগণনা বছর তিনেক পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ডিসেম্বরে সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোর কাছে এক চিঠিতে, ভারতের রেজিস্ট্রার জেনারেল (RGI) এর অফিস ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সময়সীমা বাড়ানোর কথা জানিয়েছে। এর কয়েক মাস পরই শুরু হতে পারে আদমশুমারি। কিন্তু, পরের বছরই লোকসভা নির্বাচন থাকায়, ২০২৩ সালে জনগণনার সম্ভাবনা আর নেই। এই পরিস্থিতিতে জানা গিয়েছে, গৃহতালিকা গণনার আগে আদমশুমারির কাজ শুরু হবে।
এর আগে গৃহতালিকা গণনার কাজ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা ছিল। ২০২২ সালের মার্চে সরকার নাগরিকদের আদমশুমারি ও জাতীয় জনসংখ্যা রেজিস্টারে (এনপিআর) নিজেদের স্বগণনা করার অনুমতি দেওয়ার জন্য আদমশুমারির বিধিতে কিছু সংশোধনীর বিজ্ঞপ্তি দিয়েছিল। এর ফলে জল্পনা তৈরি হয়েছিল যে ঘরের তালিকা তৈরির পর্ব ২০২২ সালেই শুরু হতে পারে। ইতিমধ্যে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলোকে সময়সীমা বাড়ানোর যে চিঠি সরকার দিয়েছে, তাতে সময়সীমা বাড়ানোর কারণ হিসেবে করোনা অতিমারীকেই উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন- ভারতের জনসংখ্যা চিনকে ছাড়িয়েছে তবে, তরুণ প্রজন্মের হার কমেছে, প্রকাশ রিপোর্টে
২০২০ সাল থেকে এই জাতীয় একাধিক ক্ষেত্রে সময়সীমা বৃদ্ধির কারণ হিসেবে করোনা অতিমারীকেই দায়ী করা হয়েছে। যখন করোনা ছিল না, তখন কিন্তু গোটা প্রক্রিয়াটা স্বাভাবিক গতিতেই চলছিল। রেজিস্টার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া ২০২১ সালে আদমশুমারির লক্ষ্য নিয়েই এগোচ্ছিল। সেই অনুযায়ী ২০২০ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে গৃহতালিকা তৈরির পর্ব চলার কথা ছিল। কিন্তু, ওই সময়ই করোনা অতিমারী প্রশাসনের যাবতীয় পরিকল্পনা ভেস্তে দেয়।