ধূর্ত এবং বহুরূপী করনাকে আমাদের হারাতেই হবে। বৃহস্পতিবার এক বৈঠকে এই আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন জেলা শাসকদের সঙ্গে করোনা পর্যালোচনা বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী। সেই বৈঠকে একগুচ্ছ পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে সংক্রমিত শিশু-কিশোররা। সেই বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মোদী বলেন, ‘জেলায় জেলায় খোঁজ নিয়ে একটা ডেটাবেস তৈরি করুন। কোথায় কত শিশু সংক্রমিত।‘
পাশাপাশি টিকা অপচয় রুখতেও জেলা শাসকদের এগিয়ে আসতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। বায়ু মাধ্যমে ১০ মিটার পর্যন্ত সংক্রমণ ছড়াতে পারে কোভিড-১৯। কেন্দ্রীয় এক বিশেষজ্ঞ কমিটি এই সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। কী ভাবে বায়ু মাধ্যমে সংক্রমণ প্রতিরোধ করা যায়? সেই বিষয় একগুচ্ছ গাইডলাইন জারি করেছে সেই কমিটি। তাতে উল্লেখ, উপসর্গহীন হয়েও সংক্রমণ ছড়ানো যায়। একমাত্র বায়ু চলাচলের প্রকৃত ব্যবস্থা (ভেন্টিলেশন) এই মাধ্যমে সংক্রমণ রোধ করতে পারে।
নির্দেশিকায় বলা, ‘দরজা-জানলা বন্ধ করে এসি চালালে সংক্রমিত বায়ু ঘরেই থেকে যায়। যেটা বাহক থেকে সুস্থ মানুষকে সংক্রমণে অনুঘটক হিসেবে কাজ করে।‘
সেই কমিটির পরামর্শ, ‘বদ্ধ জায়গা, অর্থাৎ অফিস, অডিটোরিয়াম, শপিং মলে গেবেল ফ্যান বা রুফ ভেন্টিলেটর ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা উচিত। ঘনঘন সাফাই এবং ফিল্টার পরিবর্তনে জোর দেওয়া উচিত।‘