Advertisment

পড়ুয়ারা ফিরতে পারছেন না, উদ্বিগ্ন মোদীর ফোন জেলেনস্কি, পুতিনকেও

জেলেনস্কির সঙ্গে ৩৫ মিনিট, পুতিনের সঙ্গে ৫০ মিনিট কথা বললেন।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
JELENESKY 1

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির থেকে ফোনে ইউক্রেন পরিস্থিতির খোঁজ নিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ৩৫ মিনিট কথা বললেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গেও তিনি কথা বললেন। সেটা আবার ৫০ মিনিট। ইউক্রেনে এখনও বহু ভারতীয় আটকে। তার মধ্যে বেশিরভাগই পড়ুয়া। তার মধ্যে নয়াদিল্লির মাথাব্যথার মূল কারণ, সুমি স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা।

Advertisment

ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের পশ্চিম ইউক্রেন সীমান্ত দিয়ে পার করাতে চায় নয়াদিল্লি। কিন্তু, সোমবার পর্যন্ত তাদের যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে বের করা যায়নি। ২৪ ফেব্রুয়ারি, ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরুর পর থেকেই সুমি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা মুখ গুঁজে পড়ে আছেন তাঁদের হস্টেলের বাংকারে। ওই পড়ুয়াদের যাতে ইউক্রেন থেকে দ্রুত বের করা যায়, প্রেসিডেন্ট জেলেনেস্কির কাছে সেই আবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।

এখনও পর্যন্ত বেশ কয়েকজন পড়ুয়াকে অবশ্য ইউক্রেন থেকে বের করা সম্ভব হয়েছে। তবে তাঁরা কেউ সুমি না, অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের। ওই পড়ুয়ারা নিরাপদে ইউক্রেন ছাড়তে পারায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিকে ধন্যবাদ দিয়েছেন মোদী। যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখনও পর্যন্ত রোমানিয়া, পোল্যান্ড, মলডোভা দিয়ে সীমান্ত পেরোতে দেখা গিয়েছে ইউক্রেনবাসীকে। ভারতীয়রাও সেই পথেই ইউক্রেন ছাড়ছেন।

অসামরিক বিমানের পাশাপাশি, সেনাবাহিনীর কার্গো বিমানেও ফেরানো হচ্ছে ভারতীয়দের। রোমানিয়ার বুখারেস্ট, হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট এবং পোল্যান্ডের ওয়ারসা থেকে পড়ুয়ারা বিমানে উঠছেন। শেষ পর্যায়ে পড়ুয়াদের ফেরানো রবিবার থেকে নতুন করে শুরু হয়েছে। কেন্দ্রের আশা, ভারতীয়দের ফেরানোর ক্ষেত্রে রাশিয়া বাধা সৃষ্টি করবে না।

আরও পড়ুন- কাটল না নিরাপত্তার অভাব, ফের পিছিয়ে গেল সুমির ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার

কারণ, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ থেকে সাধারণ অধিবেশন, সব জায়গাতেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোটদানে বিরত থেকেছে ভারত। তবে, রাশিয়ার হামলা যে ভারত সমর্থন করে না, সেকথাও বুঝিয়ে দিয়েছে মোদী সরকার। উভয়পক্ষকেই যুদ্ধ বন্ধ করে নয়াদিল্লি শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে।

জেলেনস্কি বারবার বলছেন, ইউক্রেন হামলা চালায়নি। তাই যুদ্ধ বন্ধ করার দায়িত্ব পুরোপুরিই রাশিয়ার। কারণ, রুশ সেনাই ইউক্রেনে প্রবেশ করতে চাইছে। বহু জায়গায় প্রবেশও করেছে। আর, ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলাও চালাচ্ছে মস্কো।

Read story in English

modi Zelenskyy
Advertisment