কাবুলে গুরুদ্বারে আত্মঘাতী হামলাকারী তিন আইএস জঙ্গির মধ্যে একজন ভারতের কেরালার বাসিন্দা। ওই জঙ্গির পরিবারের দাবির ভিত্তিতে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এই খবর নিশ্চিত করেছে। কুন্নুরের বাসিন্দা ছিল জঙ্গি মহম্মদ মুহসিন। ইসলামিক স্টেটের ম্যাগাজিন আল নাবা শুক্রবার কাবুলের গুরুদ্বারে আত্মঘাতী জঙ্গিদের ছবি প্রকাশ করে। সেখানেই এক জঙ্গিকে আবু খাল অল হিন্দ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই ছবি দেখেই মুহসিনকে চিনতে পারে তার মা-বাবা।
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার এক অধিকারিক জানিয়েছেন যে, 'মুহসিনের মা জানিয়েছেন- বৃস্পতিবার এক আইএস সদস্যের তরফে টেলিগ্রাম করা আসে। সেখানেই জানানো হয়েছিল যে- মহিলার ছেলে কাবুল গুরুদ্বারা হামলায় শহীদ হয়েছেন। সেই বার্তা তাঁকে দেখাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু মহিলা জানান, ভয়ে তা ডিলিট করে দিয়েছেন। তাই আপাতত পরিবারের দাবির ভিত্তিতেই নিশ্চিত হচ্ছি যে, কাবুল হামলায় নিহত এক জঙ্গি মুহসিন।'
এর আগে আইএস যোগরক্ষাকারী আমাক নিউজের তরফে এক বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কাশ্মীর পরিস্থিতির বদলা নিতেই কাবুলে গুরুদ্বারে হামলা চালানো হয়েছে। তবে ভারতীয় গোয়েন্দা সংস্থাগুলির স্থির বিশ্বাস, এই হামলার পিছনে পাকিস্তানের গভীর কোনও চক্রান্ত রয়েছে।
আরও পড়ুন: ভারতে ইসলামিক স্টেটের প্রভাব ঠিক কতটা?
কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোতাবেক, কেরালা থেকে দু'জন মুহসিন আইএস জঙ্গি সংগঠনে যোগ দিয়েছে। ২০১৯ সালের মার্কিম বিমান হানায় এক মুহসিন নিহত হন। তার সঙ্গে গুরুদ্বারের জঙ্গিকে আইএস বাহিনী গুলিয়ে ফেলছে না বলেই মনে করছে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। মার্কিম হানায় নিহত মুহসিন মাল্লপুরান থেকে ইঢ্জিনিয়ারিং পাস করেছিল। আইএস-এ যোগ দেয় ২০১৭ সালে।
কাবুলে গুরুদ্বারে জঙ্গি হামলায় ভারতীয়র নাম জড়ানোয় এনআইএ ঘটনার তদন্ত হাতে নিতে পারে বলে স্বাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রে খবর।
প্রসঙ্গত, গত ২৫ মার্চ কাবুলের ওল্ড সিটি এলাকার শোরবাজারের একটি গুরুদ্বারে ঢুকে বোমাবাজি শুরু করে জঙ্গিরা। প্রায় দেড়শো পুণ্যার্থীকে তারা পণবন্দি করে রেখেছে এই খবর জেনেই ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে আফগান নিরাপত্তা বাহিনী। জঙ্গিদের সঙ্গে প্রায় ৬ ঘণ্টা গুলির লড়াই শেষে বাহিনী দাবি করে, গুরুদ্বার দখলমুক্ত। জঙ্গিরা সবাই নিহত। এই হামলায় প্রাণ যায় এক শিশু-সহ ২৫ শিখ পুণ্যার্থীর।
Read the full story in English