আগামী ১লা ফেব্রুয়ারি নির্ভয়াকাণ্ডে চার দোষীর মৃত্যুদণ্ডের সাজা কার্যকর হবে। তিহার জেলে চলছে প্রস্তুতি। তার আগে কবে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে চায় দোষী মুকেশ, পবন, বিনয় ও অক্ষয়। তাদেরই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছে জেল কর্তৃপক্ষ। এই সাক্ষাৎই হবে দোষীদের সঙ্গে তাদের পরিবারের লোকেদের শেষ সাক্ষাৎ।
তিহার জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানা গিয়েছে, কড়া নজরে রাখা হয়েছে নির্ভয়া গণধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় দোষী মুকেশ(৩২), পবন গুপ্তা(২৫), বিনয় শর্মা(২৬) ও অক্ষয় সিংকে(৩১)। মৃত্যুদণ্ড রদের সব ধরনের চেষ্টা বিফলে যাওয়ার পর বিনয় ও পবন খাওয়া বন্ধ করেছিল। তাই তাদের দিকে বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে। জেল কর্তৃপক্ষের কথায়, 'চিকিৎসকদের পরামর্শ মেনে তাদের খেতে দেওয়া হচ্ছে। ওরা মাঝে মধ্যেই খাচ্ছে না। কিন্তু ওই দু'জনকে মানসিকভাবে চাঙ্গা রাখছি আমরা।'
মৃত্যুদণ্ডে চূড়ান্ত সিলমোহর পড়তেই বিধি মেনে চার দোষীর কাছে সংবাদ পত্র সরবরাহ বন্ধ করা হয়েছে। তাদের টিভি দেখতেই দেওয়া হচ্ছে না। মানসিক চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ। এছাড়া, জেলেরই দু'জন চিকিৎসক চার দোষীকে প্রত্যেকদিন দেখভাল করছেন। জেলে রেকর্ড রাখতে করা হচ্ছে সাপ্তাহিক দেখভালও।
আরও পড়ুন: নির্ভয়ার ধর্ষকদের ফাঁসি ১ ফেব্রুয়ারি
'পরিবারের লোকেদের সঙ্গে কবে শেষ দেখা করতে চায়, তা এখনও পর্যন্ত অবশ্য জেল কর্তৃপক্ষকে জানায়নি মৃত্যুদণ্ডের সাজাপ্রাপ্ত আসামীরা। নিয়ম অনুশারে বর্তমানে সপ্তাহে দু'বার সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের পরিবারের সদস্যরা দেখা করতে পারেন। এক্ষেত্রে ২-৩ জন লোক দোষীদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তবে, ওই চার জনের ক্ষেত্রে নিয়ম শিথিল করা হবে।' জানিয়েছেন, তিহার জেলের ডিজি সন্দীপ গোয়েল। ৩০ জানুয়ারির মধ্যে যেকোনও দিন দোষী মুকেশ, পবন, বিনয় ও অক্ষয়ের সঙ্গে শেষ দেখা করতে পারেন তাদের পরিবারের লোকেরা।
ডিজি সন্দীপ গোয়েল জানান, মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর ময়না-তদন্ত হবে, তারপর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। তিহার জেলের বাইরে হবে শেষকৃত্য। সংসদ হামলায় দোষী আফজাল গুরুর ফাঁসি হয়েছিল ২০১৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি। জেল কর্তৃপক্ষ গুরুর শেষকৃত্য করেছিল তিহারের ৪ নম্বর জেলের মধ্যে।
নির্ভয়াকাণ্ডের দোষীদের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে তিহারের ৩ নম্বর জেলে। ৩০ জানুয়ারি দিল্লিতে পৌঁছাবেন ফাঁসুড়ে পবন জল্লাদ। ফাঁসির দড়ি, স্টান্ড সহ অন্যান্য বিষয়গুলি পরীক্ষার কাজ চলছে।
Read the full story in English