যে গাড়িতে চেপে খালিস্তানপন্থীদের নেতা অমৃতপাল সিং পালিয়েছে, সেই গাড়ি উদ্ধার করল পুলিশ। পাশাপাশি, অমৃতপালকে পালাতে সাহায্য করার অভিযোগে চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর পাশাপাশি অভিযুক্তদের থেকে পুলিশ ৩১৫ বোরের রাইফেল, কিছু তলোয়ার এবং ওয়াকি-টকিও উদ্ধার করেছে।
সাংবাদিক বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন পঞ্জাব পুলিশের আইজি (সদর) সুখচেইন সিং গিল। ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, অমৃতপাল নানগাল আমবিয়ান গুরদোয়ারায় গিয়েছিল। সেখানে অভিযুক্ত পোশাক (ট্রাউসার এবং শার্ট) বদলায়। সেখানে অভিযুক্ত অমৃতপালকে তিন ব্যক্তি সাহায্য করে। তারা অমৃতপালকে মোটরসাইকেলে চাপিয়ে নিয়ে যায়।
পঞ্জাব এবং হরিয়ানা হাইকোর্ট মঙ্গলবারই অমৃতপালের পলায়ন ইস্যুতে গোয়েন্দা ব্যর্থতার জন্য পুলিশকে তুলোধনা করেছে। পঞ্জাবের অ্যাডভোকেট জেনারেল বিনোদ ঘাইকে আদালত বলেছে, 'আপনাদের ৮০,০০০ পুলিশ আছে। কেন গ্রেফতার করা যাচ্ছে না?'
ঘটনার সময় ঘাই কেবলমাত্র আদালতকে জানাতে গিয়েছিলেন, 'ওয়ারিস পঞ্জাব দে' সংগঠনের প্রধান ছাড়া বাকি সবাইকেই গ্রেফতার করা হয়েছে। আদালতের বক্তব্যের পর অ্যাডভোকেট জেনারেল বিনোদ ঘাই জানান যে, অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রয়োগ করা হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আইন-শৃঙ্খলা ইস্যুতে মুখ খুলেছেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। তিনি জানিয়েছেন, যাঁরাই পঞ্জাবের শান্তি-শৃঙ্খলা নষ্টের চেষ্টা চালাবে, তাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেবে। তার আগে সোমবার থেকেই খালিস্তানপন্থী ধর্মপ্রচারক অমৃতপাল সিংয়ের বিরুদ্ধে ধরপাকড়ে নামে পঞ্জাব পুলিশ।
আরও পড়ুন- ব্রিটেনের পর এবার আমেরিকা! ভারতীয় দূতাবাসে তাণ্ডব চালাল খালিস্তানপন্থীরা, নিন্দার ঝড়
মান জানিয়েছেন, এই ধরপাকড়ের জেরে বহু মানুষ তাঁর সরকারের প্রশংসা করেছেন। তাঁদের ফোন তিনি পেয়েছেন। মান জানিয়েছেন, পঞ্জাবের শান্তি, সম্প্রীতি এবং দেশের অগ্রগতিকে তিনি অগ্রাধিকার দিতে চান। এই প্রসঙ্গে ভগবন্ত মান বলেন, 'নির্বাচনে বিপুল জনসমর্থনের মাধ্যমে জনগণ আপকে এক গুরুদায়িত্ব দিয়েছে। আমরা কোনও শক্তিকে দেশের বিরুদ্ধে চালিত হতে দিতে পারব না।'