পঞ্জাবে গুলিতে খুন হলেন কংগ্রেস নেতা তথা জনপ্রিয় গায়ক সিধু মুসেওয়ালা। রবিবার মানসার কাছে তাঁকে গুলি করে খুন করা হয়েছে। তাঁর দেহে ১০টি বুলেটের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে জওহর কে গ্রামের এক মন্দিরের কাছে। তাঁকে অনুগামীরা মানসা নাগরিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে, সেখানে চিকিত্সকরা গায়ক-রাজনীতিবিদকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
Advertisment
ঠিক একদিন আগেই মুসেওয়ালার নিরাপত্তা প্রত্যাহার করে নিয়েছিল ভগবন্ত মানের নেতৃত্বাধীন পঞ্জাব সরকার। তার পরই এই ঘটনা ঘটায়, আপ সরকারের ব্যর্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন বিরোধীরা। শুধু মুসেওয়ালাই নন। শনিবারই পঞ্জাব সরকার খরচ কমাতে ৪২৪ জন 'ভিআইপি'র নিরাপত্তা প্রত্যাহার করেছে। এই ব্যাপারে মান সরকারের বক্তব্য, তাঁরা ভিআইপি সংস্কৃতির অবসান চান।
মানসার কাছে মুসেওয়ালা গ্রামেই সিধু মুসেওয়ালার বাড়ি। গত কয়েক বছরে তাঁর বেশ কয়েকটি পঞ্জাবি গান জনপ্রিয়তা পেয়েছে। সেই জনপ্রিয়তার ওপর নির্ভর করে মানসা থেকে বিধানসভা নির্বাচনে তিনি প্রার্থী হন। টিকিট দিয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত দেখা যায় আম আদমি পার্টির ড. বিজয় সিংলার কাছে ৬৩,৩২৩ ভোটে মুসেওয়ালা পরাজিত হয়েছেন। তার আগে গত বছরের নভেম্বরে বিপুল সংখ্যক সমর্থক নিয়ে মুসেওয়ালা কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। সেই সময় মানসার বিধায়ক ছিলেন কংগ্রেসেরই নজর সিং মানসাহিয়া। কংগ্রেস মুসেওয়ালাকে টিকিট দেওয়ায় তিনি দলের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন। সঙ্গে জানিয়েছিলেন, বিতর্কিত গায়ক-রাজনীতিবিদের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার জন্যই তিনি অনুগামীদের বলবেন।
মুসেওয়ালার মৃত্যুতে শুধু পঞ্জাবের মানসাই নয়, সংস্কৃতি মহলেও শোকের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি এই খুনের তীব্র নিন্দা করেছেন। একইসঙ্গে দোষীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার সময় মুসেওয়ালা তাঁর গাড়িতে ছিলেন। দুষ্কৃতীরা সেই গাড়ি লক্ষ্য করেই গুলি ছোড়ে। তাঁর মৃত্যু নিশ্চিত করতেই গায়ককে লক্ষ্য করে অন্তত ১০টি গুলি ছোড়া হয়েছে। গুলি এই গায়ক-রাজনীতিবিদের গাড়ির কাচ ভেদ করে তাঁর শরীরে প্রবেশ করেছে বলেই তদন্তকারীরা জানিয়েছেন।