আমেরিকা এবং ইউরোপের দেশগুলোর অভিযোগে সিলমোহর দিল রাশিয়া ও চিন। ইউক্রেনের লড়াই যে এই দুই দেশের বন্ধুত্বে চিড় ধরাতে পারেনি, বুধবার ফের দেখল গোটা বিশ্ব। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করলেন চিনা কমিউনিস্ট পার্টির বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ওয়াং ই। ক্রেমলিনে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। সাম্প্রতিক অতীতে এই দুই দেশের একাধিক বৈঠক বুঝিয়ে দিয়েছে, ইউক্রেনে রুশ হামলায় সায় আছে চিনেরও। এমনটাই মনে করছেন আমেরিকা ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র বিশেষজ্ঞরা।
ঠান্ডা যুদ্ধের সময়কালের মতই রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপ এবং আমেরিকার সম্পর্ক এখন তলানিতে। সঙ্গে, চিনের সঙ্গে আমেরিকার সম্পর্কেও টানাপোড়েন চলছে। মস্কো চলতি সপ্তাহেই জানিয়ে দিয়েছে, ওয়াশিংটনের সঙ্গে পরমাণু নিয়ন্ত্রণ চুক্তি তারা বাতিল করছে। আবার আমেরিকা উদ্বেগের সঙ্গে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে যে, ইউক্রেনের সঙ্গে লড়াইয়ে রাশিয়াকে অস্ত্র ও গোলাবারুদ দিয়ে সাহায্য করতে পারে চিন।
সেই আশঙ্কা বাড়িয়ে দিল বুধবার চিন-রাশিয়ার বৈঠক। চিনের মিউনিস্ট পার্টির বিদেশনীতি বিষয়ক প্রধান ওয়াং ই-কে ক্রেমলিনে স্বাগত জানান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি দুই দেশের গভীর সম্পর্কের প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে জানিয়ে দেন, তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের রাশিয়া সফরের প্রতীক্ষা করছেন। পুতিন বলেন, 'বর্তমান পরিস্থিতিতে বিশ্বে উত্তেজনা বাড়ছে। এই পরিস্থিতিতে স্থিতাবস্থা নিয়ে আসতে পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না ও রাশিয়ার ফেডারেশনের বৈঠক আংশিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ।'
আরও পড়ুন- ভবানীপুরে মমতার উপনির্বাচনে নির্দল প্রার্থী ছিলেন ‘কালীঘাটের কাকু’
ওয়াং পালটা বলেন, 'চিন-রাশিয়ার সম্পর্ক কোনও তৃতীয় দেশের বিরুদ্ধে পরিচালিত হবে না। আবার, তৃতীয় কোনও দেশের চাপের অধীনেও থাকবে না।' যদিও যুদ্ধের উন্মাদনায় ফুটতে থাকা ইউরোপ ও আমেরিকার কাছে এই সব কথা কতটা দাগ কাটবে, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্নজনের। কারণ, বৈঠকে আমেরিকার বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন দেশের বিদেশনীতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তুলেছেন পুতিন ও ওয়াং। একইসঙ্গে তাঁরা, 'আন্তর্জাতিক সম্পর্কের বহুমুখিনতা ও গণতন্ত্রীকরণের পক্ষে সুর চড়িয়েছেন।'