/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2023/08/Manipur.jpg)
মণিপুর মেইতিস ও কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর মে মাসের শুরু থেকে হিংসার সাক্ষী হয়ে আসছে। যার ফলে ১৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছেন। কয়েক হাজার মানুষ বাস্তুচ্যুত।
হিংসা-বিধ্বস্ত মণিপুরে আইন-শৃঙ্খলা এবং সাংবিধানিক কাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। মঙ্গলবার এমনটাই উল্লেখ করে সুপ্রিম কোর্ট পার্বত্য রাজ্যের ডিজিপিকে ৭ আগস্ট পরবর্তী শুনানির জন্য উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছে। গোটা ঘটনাটি দৃঢ়ভাবে পর্যবেক্ষণের পর শীর্ষ আদালত মণিপুর পুলিশের তদন্তকে 'অত্যধিক অলস' বলে কড়া সমালোচনা করেছে। পাশাপাশি জিজ্ঞাসা করেছে যে পুলিশ সদস্যরা নির্যাতিতাদের জনতার হাতে তুলে দিয়েছে, তাদের মণিপুর পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে কি না।
ভারতের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের নেতৃত্বে শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ মণিপুর হিংসা সম্পর্কিত আবেদনগুলোর শুনানি করছিল। যার মধ্যে যৌন হিংসার শিকারদের দায়ের করা আবেদনগুলোও আছে। গত মাসে, ৪ মে কুকি-জোমি সম্প্রদায়ের মহিলাদের নগ্ন প্যারেড এবং যৌন নির্যাতনের একটি ভিডিও প্রকাশিত হয়েছিল। যা, সারা দেশে ক্ষোভ ও প্রতিবাদের জন্ম দিয়েছে। ইতিমধ্যেই মণিপুর যৌন নিপীড়ন মামলার তদন্তভার হাতে নিয়েছে সিবিআই।
বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রের সমন্বয়ে গঠিত শীর্ষ আদালতের বেঞ্চ জিজ্ঞাসা করেছিল, 'আইন-শৃঙ্খলা যদি মানুষকে রক্ষা করতে না-পারে, তবে নাগরিকদের কী হবে? একটি জিনিস খুব স্পষ্ট যে ভিডিও মামলায় এফআইআর নথিভুক্ত করতে দীর্ঘ বিলম্ব হয়েছিল।' শীর্ষ আদালত বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে যে রাজ্য পুলিশ তদন্তে অক্ষম এবং তারা নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে।
আরও পড়ুন- নুহ হিংসার জের, দায়ের ৪৪টি এফআইআর, পুলিশ হেফাজতে ৭০
সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা, কেন্দ্র এবং মণিপুর সরকারের পক্ষে উপস্থিত হয়ে বেঞ্চকে বলেছেন যে রাজ্য পুলিশ মণিপুর ভিডিও মামলায় 'শূন্য' এফআইআর দায়ের করেছে এবং মণিপুর পুলিশ ভিডিও মামলায় একজন কিশোর-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। দুই মহিলা সিবিআইয়ের কাছে তদন্ত হস্তান্তরের বিরোধিতা করেছেন এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ঘটনায় তদন্তের জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল গঠনের দাবি জানিয়েছেন। মেইতিস এবং কুকিদের মধ্যে সংঘর্ষের পর মে মাসের শুরু থেকে মণিপুর সহিংসতার সাক্ষী হয়ে আসছে। যার ফলে ১৪০ জনেরও বেশি লোক নিহত হয়েছে এবং হাজার কয়েক মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।