৯ জনের মৃত্যু হয়েছে দলিত বনধে। মৃতদের মধ্যে একজন শিশু। হিংসায় ক্ষয়ক্ষতিও হয়েছে ব্যাপক। দলিত সম্প্রদায়ের মনোভাব বুঝে তড়িঘড়ি শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থও হয়েছিল কেন্দ্র। কিন্তু সেখান থেকে আপাতত খালি হাতেই ফিরতে হল। ২০ মার্চের রায়ের উপর কোনও রকম স্থগিতাদেশ নয় বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতের মন্তব্য, যাঁরা বনধ ও আন্দোলনে শামিল হয়েছেন, তাঁরা হয় আদালতের নির্দেশ পড়েননি, অথবা তাঁরা বিপথে চালিত হয়েছেন।
২০ মার্চের নির্দেশ সম্পর্কে সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির বেঞ্চ এদিন স্পষ্ট জানিয়েছে, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের উপর অপরাধ বিষয়ক আইন আদৌ বাতিল করা হয়নি। সেদিনের রায়ে কেবলমাত্র নিরপরাধ ব্যক্তিদের গ্রেফতারি থেকে বাঁচানোর কথা বলা হয়েছে।
কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এদিন আদালতে হাজির হন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল। শীর্ষ আদালতের ২০ মার্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশের আবেদন করেন তিনি। ২০ মার্চের ওই নির্দেশে বলা হয়েছে, তফশিলি জাতি ও উপজাতিদের বিরুদ্ধে অপরাধ নিরোধক আইনে কারো বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের আগে প্রাথমিক তদন্ত করতে হবে। ওই নির্দেশে আরও বলা হয়েছে, এই আইনের বলে কোনও অভিযুক্তকে গ্রেফতার করার আগে যথাযথ অনুমোদন লাগবে। এই রায়ের বিরুদ্ধে সোমবার সারা ভারত ব্যাপী বনধের ডাক দেয় দলিত সংগঠনগুলি। বনধের দিন বিক্ষোভ ও হিংসার জেরে বিভিন্ন রাজ্যের মোট ৯ জন প্রাণ হারান। মৃতদের মধ্যে একটি শিশুও রয়েছে। বনধে হিসায় বহু সম্পত্তির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
এদিন সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি এ কে গোয়েল ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চ কেন্দ্রের আবেদন গ্রহণ করে জানান, তাঁরা পূর্ববর্তী রায় খতিয়ে দেখবেন। আজ সকালেই প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের সামনে বিষয়টি উত্থাপন করেন অ্যাটর্নি জেনারেল কে কে ভেণুগোপাল। তাঁর আবেদনে সাড়া দিয়ে মামলাটি এ কে গোয়েল ও ইউ ইউ ললিতের ডিভিশন বেঞ্চে পাঠান।
এর আগে, সোমবারই তফশিলি জাতি ও উপজাতি আইন লঘু করার বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে আবেদন করেছিল। ওই আবেদনে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, আইনের সম্ভাব্য অপব্যবহার আইনের কঠোরতাকে লঘু করার কারণ হতে পারে না। এই আইন লঘু করা হলে, সংবিধানে তফশিলি জাতি ও তফশিলি উপজাতিদের জন্য যে সংরক্ষণ দেওয়া রয়েছে, তা ব্যাহত হবে বলে উল্লেখ করা হয় কেন্দ্রের আবেদনে।