সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনে হস্তক্ষেপ করুক সুপ্রিম কোর্ট। এই মর্মে আবেদন জানিয়ে ভারতের সর্বোচ্চ আদালতে আবেদন করলেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার। সিএএ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দফতর জেনেভা থেকে আবেদন করা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। 'আদালত বান্ধব' হিসাবে কাজ করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশনার।
এর আগে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদের বৈঠকে সিএএ এবং তাঁকে ঘিরে সংঘর্ষের প্রসঙ্গ উঠেছিল। নয়া দিল্লির তরফে স্পষ্ট জানানো হয় যে, সিএএ ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
ভারত জানিয়েছে, সিএএ ভারতে 'অভ্যন্তরীণ' বিষয়। মানবাধিকার রক্ষার দীর্ঘদিনের প্রতিশ্রুতি এই আইনের মাধ্যমে পূরণ করা হবে। বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে যে, 'সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয় এবং সার্বভৌম ক্ষমতা বলে সংসদে এই আইন প্রণয়ন হয়েছে। ভারতের সার্বভৌম কোনও বিষয় নিয়েই বিদেশি কোনও পক্ষের অবস্থান গ্রহণের কোনও জায়গা নেই।'
বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার জানিয়েছেন, 'ভারতীয় সংবিধান মেনেই সিএএ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশভাগের কথা বিবেচনা করে মানবাধিকার রক্ষার্থেই এই আইন হয়েছে।' তাঁর সংযোজন, 'ভারতে আইনের শাসন জারি রয়েছে। বিচার ব্যবস্থার প্রতিও আস্থাশীল। সরকারের এই আইন তৈরির প্রকৃত উদ্দশ্য ভারতীয় বিচার ব্যবস্থায় মাধ্যমে প্রমাণিত হবে বলে বিশ্বাস করি।'
গত ডিসেম্বরেই সংসদের উভয় কক্ষে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন পাস হয়। ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় অত্যাচারের শিকার হয়ে যেসব হিন্দু, পার্সি, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও শিখ এদেশে এসেছেন তাদের নাগরিকত্ব প্রদান করবে ভারত সরকার। ধর্মের ভিত্তি এই আইন তৈরির অভিযোগ ওঠে। সিএএ বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে মোদী সরকার বিরুদ্ধে আন্দোলন, বিক্ষোভ শুরু হয়। ছড়িয়ে পড়ে হিংসা।
সিএএ-র সাংবিধানির বৈধতা বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টে বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: দিল্লি হিংসার সমালোচনায় ইরানের বিদেশমন্ত্রী, রাষ্ট্রদূতকে সমন নয়াদিল্লির
বিক্ষোভ, প্রতিবাদের মাঝেই প্রধানমন্ত্রী মোদী গত মাসে বারাণসীতে বলেছেন যে, 'কোনও প্রতিরোধের কাছেই মাথা নত করবে না কেন্দ্র। দেশে সিএএ লাগু হবেই। জাতীয় স্বার্থেই এই আইনের প্রয়োগ দরকার।'
ইতিমধ্যেই এই আইনের বিরুদ্ধে কেরালা, বাংলা, বিহার, পাঞ্জাব বিধানসভায় প্রস্তাব পাস হয়েছে।
Read the full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন