রাষ্ট্র সংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে তাঁর প্রথম ভাষণে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার হাই কমিশনার মিশেল ব্যাশেলেট ভারতে ৩৭৭ দারা অবলুপ্তি ঘটানোর জন্য সুপ্রিম কোর্টের প্রশংসা করলেন। একই সঙ্গে ভারতের নিন্দায় মুখর হলেন তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে। রাষ্ট্রসংঘের রিপোর্টে কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে যেসব বিষয়ের উল্লেখ করা হয়েছে সে ব্যাপারে কোনও অর্থবহ উন্নতির চেষ্টা ভারতের তরফ থেকে দেখা যায়নি বলে অভিযোগ তাঁর।
চিলের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ব্যাশেলেট এ মাসেই দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন। রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলের ৩৯ তম সভায় প্রারম্ভিক ভাষণ দিতে গিয়ে ব্যাশেলেট বলেন, পৃথিবীর অন্য সব জায়গার মানুষের মতোই কাশ্মীরের মানুষেরও ন্যায়বিচার পাওয়ার অধিকার রয়েছে।
আরও পড়ুন, নীরব মোদীর বোনের বিরুদ্ধে রেড কর্নার নোটিস জারি
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদ কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখার দুদিকেই শর্তহীন প্রবেশাধিকারের যে অনুরোধ করেছে, সে বিষয়টি এদিন ফের তুলে ধরেন ব্যাশেলেট। তিনি বলেছেন, ‘‘মানবাধিকার পর্ষদ নিয়ন্ত্রণরেখার দুদিকে পরিদর্শনের অনুমতি চেয়ে যে অনুরোধ করেছে তা আবার করা হচ্ছে, এবং ইতিমধ্যে তারা পর্যবেক্ষণ ও রিপোর্ট পেশের কাজ চালিয়ে যেতে থাকবে।’’
গত জুনে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে ব্যাশেলেটের পূর্বসূরী জেইদ হুসেন কাশ্মীরের মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে নিরপেক্ষ আন্তর্জাতিক তদন্তের জন্য তদন্ত কমিশন গঠনের কথা বলেছিলেন এবং ভারত ও পাকিস্তান দু দেশকেই আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের বিষয়টিকে মর্যাদা দিতে বলেছিলেন।
ভারতের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে তৎক্ষণাৎ কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এ বিষয়ক রিপোর্টকে প্রতারণামূলক ও উদ্দেশ্যমূলক বলে উড়িয়ে দেওয়া হয়। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়, এই রিপোর্ট ভারতের সার্বভৌমত্ব ও সংহতির পক্ষে ক্ষতিকারক। পুরো জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। পাকিস্তান ভারতীয় রাষ্ট্রে বেআইনিভাবে জোর করে দখলদারি চালাচ্ছে।’’
রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক নতুন কমিশনার ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসী পরিবারদের বিছিন্ন করা সম্পর্কিত নয়া নীতিকে অযোক্তিক বলে বর্ণনা করে ইউরোপের দেশগুলির কাছে ভূমধ্যসাগর এলাকা জুড়ে অভিবাসীদের খুঁজে বের করে তাদের উদ্ধার করার ব্যাপারে অনুরোধ করেছেন। মায়ানমারে রাখাইন প্রদেশে রোহিঙ্গাদের উপর চলা অত্যাচার নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি।