জাতীয় অপরাধ রেকর্ডস ব্যুরোর (এনসিআরবি) এর সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ন্যাশনাল সেন্টার ফর মিসিং অ্যান্ড এক্সপ্লোয়েটেড চিলড্রেনের (এনসিএমইসি) প্রকাশিত প্রতিবেদনে দেখা গিয়েছে, গত পাঁচ মাসে ভারতে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলিতে ২৫ হাজার চাইল্ড পর্নোগ্রাফি আপলোড করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের এক আধিকারিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে জানিয়েছেন যে শিশুদের যৌন নির্যাতন সংক্রান্ত বিষয় আপলোডের ক্ষেত্রে শীর্ষ তালিকায় রয়েছে দিল্লির নাম।
আরও পড়ুন: চিনে করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা ১০৬, দিল্লিতে হাসপাতালে ৩ ভারতীয়
যদিও রাজ্য-ভিত্তিক তথ্য সরবরাহ করতে অস্বীকার করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিক। তবে মহারাষ্ট্রের এক প্রবীণ আইপিএস কর্মকর্তা দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন যে, এখনও পর্যন্ত এনসিআরবি দ্বারা রাজ্যের সাইবার ইউনিটে ১৭০০টি এমন ঘটনার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের আধিকারিকের মতে, এনসিএমইসি-র দেওয়া প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ পর্যন্ত সারা দেশে বেশ কয়েকটি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে এবং সেই ভিত্তিতে গ্রেফতারও করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই চাইল্ড পর্নোগ্রাফির বিরুদ্ধে বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে মহারাষ্ট্র সরকার। আধিকারিক বলেন, “আমরা এর নামকরণ করেছি অপারেশন ব্ল্যাকফেস। রাজ্য পুলিশকে এই ধরনের ঘটনা মোকাবিলা করার ক্ষেত্রে একটি স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে"।
আরও পড়ুন: নাগরিকত্ব আইনে আবেদনকারীকে ধর্মেরও প্রমাণ দিতে হবে
প্রসঙ্গত, এনসিএমইসি একটি অসরকারি সংস্থা যা ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়, যারা শিশুদের উপর যৌন নিপীড়ন এবং শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে চলেছে। বর্তমানে এখন কেন্দ্র ব্যক্তি এবং পরিষেবা সরবরাহকারীদের কাছ থেকে অনলাইনে শিশু পর্নোগ্রাফি ওয়েবসাইট ট্র্যাক করতেও বিভিন্ন ধরণের সফটওয়্যার ব্যবহার করছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের আধিকারিকের তরফে বলা হয়েছে যে, "আমরা গত বছর এনসিএমইসি-এর সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছি। এরপর থেকেই তারা অনলাইনে আপলোড করা শিশু পর্নোগ্রাফি ভিডিওগুলি সম্পর্কে তাদের 'টিপলাইন প্রতিবেদন'গুলি আমাদের পাঠাতে শুরু করেছে।" স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকসূত্রে আরও জানানো হয় যে, "বেশিরভাগ শিশু পর্ন আপলোড করা রাজ্যের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে দিল্লি। অন্যান্য রাজ্যগুলির মধ্যে রয়েছে মহারাষ্ট্র, গুজরাট, উত্তরপ্রদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ।
Read the full story in English