হাফিজ সইদের গ্রেফতারি নিয়ে উচ্ছসিত হতে রাজি নয় আমেরিকা। ওয়াশিংটনের দাবি, এর আগেও একাধিকবার আর্ন্তজাতিক মহলের চাপের মুখে হাফিজকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান। কিন্তু হাফিজের নেতৃত্বাধীন জঙ্গি সংগঠন লস্কর-ই-তৈবার প্রভাব হ্রাস করতে কোনও কার্যকরী ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ২০০১ সালে ভারতের সংসদে সন্ত্রাসবাদী হানা এবং ২০০৮ সালে মুম্বই বিস্ফোরণের মাস্টারমাইন্ড হাফিজ কারাগারের ভিতর থেকেই সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপ বজায় রেখেছে।
আগামী সপ্তাহেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তার আগে মার্কিন প্রশাসনের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, "আমরা এর আগেও এই ধরনের পদক্ষেপ দেখেছি। আমেরিকা কোনও লোকদেখানো চমকের পক্ষে নয়। আমরা চাই সন্ত্রাসবাদের সমস্যার দীর্ঘস্থায়ী সমাধান।" প্রসঙ্গত, গত বুধবারই রাষ্ট্রসংঘ কর্তৃক আর্ন্তজাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা পাওয়া হাফিজকে গ্রেফতার করেছে পাকিস্তান প্রশাসন। ২০০১ সালের সংসদ হামলার পর থেকে এখনো পর্যন্ত ১৭ বার গ্রেফতার হয়েছে হাফিজ।
আরও পড়ুন: হাফিজ সইদের গ্রেফতারির ইতিহাস
ওই মার্কিন আধিকারিক বলেন, "আমরা ইতিহাস সম্পর্কে সম্পূর্ণ সচেতন। এর আগেও বহুবার সাইদ গ্রেফতার হয়েছে, কিন্তু তাতে পরিস্থিতির কোনও মৌলিক পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি পাকিস্তান ঘোষণা করেছে, তারা লস্কর-ই-তৈবার যাবতীয় সম্পতি বাজেয়াপ্ত করবে। আশা করি ইসলামাবাদ কোনও চমকের পথে না হেঁটে সন্ত্রাসবাদ দমনে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।"
পাকিস্তানের প্রশাসনের সঙ্গে জঙ্গীগোষ্ঠীগুলির সম্পর্ক প্রসঙ্গে ওই মার্কিন আধিকারিক জানান, হাফিজ কারাগারে থাকার সময়ও লস্করের জঙ্গীরা একাধিক নাশকতামূলক কার্যকলাপ করেছে। ওই জঙ্গী তৎপরতার প্রধান কেন্দ্র ছিল পাকিস্তান। তাই এই বিষয়ে সন্দেহের অবকাশ আছে। তিনি জানান, লস্কর ছাড়াও আরও বেশ কিছু সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের তৎপরতার দিকে কড়া নজর রাখছে আমেরিকা। এগুলির মধ্যে রয়েছে জৈশ-এ-মহম্মদ এবং হাক্কানি নেটওয়ার্ক। ওই আধিকারিকের কথায়, "এই সংগঠনগুলির সঙ্গে পাকিস্তানের গোয়েন্দাবাহিনীর যোগাযোগ সম্পর্কে আমরা সচেতন।"
Read the full story in English