ICC Issues Arrest Warrant against Netanyahu and Gallant: নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে বড় সিদ্ধান্ত আন্তর্জাতিক আদালতের!
ইন্টারন্যাশানাল ক্রিমিনাল কোর্ট (আইসিসি) যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কবে, কোথায় এবং কিভাবে গ্রেফতার করা হবে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রীকে?
নেতানিয়াহুর গ্রেপ্তারের নির্দেশে পশ্চিমী দেশগুলো নিজেদের মধ্যে দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছে। কিছু দেশ যেমন এই সিদ্ধান্তের বিরোধীতা করেছে তেমন কিছু দেশ এমনও বলেছে যে নেতানিয়াহু তাদের দেশে পা রাখলেই তাকে গ্রেফতার করা হবে।
সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা গ্রহণ করতে অস্বীকার করেছে আমেরিকা। হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র আদালতের সিদ্ধান্তকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন এবং এই সিদ্ধান্তকে 'হটকারীতা' বলে উল্লেখ করেছেন। উল্লেখ্য আমেরিকা আইসিসির সদস্য দেশ নয়।
এখনও জেলের বাইরে কেন? আদানি ইস্যুতে জোরালো প্রশ্ন! মোদী সরকারকে নিশানা রাহুলের
ট্রুডো বলেছেন- অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে
এদিকে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, আইসিসির সদস্য দেশ হওয়ায় তিনি আদালতের নিয়ম মেনে চলবেন। ট্রুডো সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নেতানিয়াহু কানাডায় পা রাখলেই তাকে অবিলম্বে গ্রেফতার করা হবে। তিনি এক্স-এ এ বিষয়ে তার বক্তব্যও পোস্ট করেছেন।
কানাডার পাশাপাশি নেদারল্যান্ডস ও ইতালিও বলেছে, নেতানিয়াহু তাদের দেশে পা রাখলেই এলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
নেদারল্যান্ডসের বিদেশমন্ত্রক জানিয়েছে তারা আন্তর্জাতিক আদালতের সিদ্ধান্ত ১০০ শতাংশ অনুসরণ করবে।
'সিআরপিএফ না থাকলে'....! হিংসা নিয়ে অবশেষ মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী
ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী ক্রসিটো বলেছেন যে আমরা বিশ্বাস করি না যে হামাস এবং ইজরায়েল এক। তবুও, আমাদের দেশ আইসিসির নিয়ম মেনে চলবে এবং নেতানিয়াহু ইতালিতে আসলে তাকে গ্রেফতার করা হবে।
নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ
এদিকে নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ সামনে এনেছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উল্লেখ করে তিনি বলেছেন, 'সাংবিধানিকভাবে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আইসিসি মিথ্যা অভিযোগ করছে। আমরা সাধারণ মানুষকে টার্গেট করছি না বরং প্রাণহানি এড়াতে চেষ্টা করছি। এ জন্য সতর্কতা জারি করার মতো নানা পদক্ষেপও নেওয়া হয়'। ভবিষ্যতেও আমরা এভাবেই আমাদের কাজ চালিয়ে যাব।
আইসিসির সিদ্ধান্তের পরে, কেবল আইসিসি সদস্য দেশগুলি নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করতে পারে। আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং তার প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। নেতানিয়াহু এই সিদ্ধান্তের নিন্দা করেছেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও হামাসের সামরিক প্রধান মহম্মদ দেইফকে যুদ্ধাপরাধী আখ্যা দিয়ে তাকেও গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছে।
আইসিসি নেতানিয়াহু এবং প্রাক্তন ইজরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টকে হত্যা, নির্যাতন এবং অমানবিক কাজ সহ মানবতাবিরোধী অপরাধের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছে।
ইজরায়েল আইসিসির করা অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে। ইজরায়েল বলছে, এ ধরনের সিদ্ধান্ত আইসিসির এখতিয়ার বর্হিভূত। আইসিসি এই পরোয়ানা জারি করেছে, তবে নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তারের ক্ষমতা আইসিসির নেই । শুধুমাত্র সেইসব দেশেই তাকে গ্রেফতার করতে পারে যারা এই আদালত প্রতিষ্ঠার চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে।