Advertisment

ধ্বংসস্তূপ সরানোর মেশিনই ভেঙে গেছে, দেড় দিন বন্ধ উত্তরকাশীর টানেলবন্দি শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ

শ্রমিকদের মনোবল বাড়াতে টানেলের কাছেই বানানো হয়েছে অস্থায়ী টেলিফোন এক্সচেঞ্জ। পরিবারের লোকজনের সঙ্গে কথা বলার জন্য টেলিফোন সেট থাকবে শ্রমিকদের কাছে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Uttarakhand tunnel rescue

সিল্কিয়ারা-বারকোট নামে এই টানেলের ভিতরে গত ১৩ দিন ধরে ৪১ জন শ্রমিক আটকে আছেন। শনিবার, ২৫ নভেম্বর তার উদ্ধারকাজের দৃশ্য। (চিত্রাল খম্ভতীর এক্সপ্রেস ছবি)

উদ্ধার অভিযান বন্ধ

উত্তরকাশীর টানেলে উদ্ধার অভিযান আপাতত এক থেকে দেড় দিন বন্ধ থাকছে। যে মেশিনগুলো দিয়ে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছিল, তা পাহাড়ের মাথায় নিয়ে গিয়ে বসানো হবে। সেই জন্যই উদ্ধারকাজ এক থেকে দেড় দিন বন্ধ থাকবে। শনিবার এমনটাই জানিয়েছে জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ (এনডিএমএ)। এব্যাপারে এনডিএমএর আধিকারিক লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) সৈয়দ আতা হাসনাইন জানিয়েছেন, এবার পাহাড়ের মাথা থেকে লম্বালম্বি গর্ত করার চেষ্টা করা হবে। তিনি জানান, পরবর্তী উদ্ধার অভিযান শুরু হতে ২৪ থেকে ৩৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। সিল্কিয়ারা নামে এই টানেলের ভিতরে গত ১৩ দিন ধরে ৪১ জন শ্রমিক আটকে আছেন।

Advertisment

মেশিন ভেঙে গেছে

সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের প্রতিবেদন অনুসারে, যে মেশিন দিয়ে টানেলে গর্ত করা হচ্ছিল, সেই অগার মেশিনটি বারবার বাধা পেয়েছে। ড্রিলিং করার সময় মেশিনটি ভেঙেও গিয়েছে। তাই এবার ম্যানুয়াল ড্রিলিং বা বিকল্প পথের কথা ভাবছেন উদ্ধারকারীরা। প্রায় ৬০ মিটার পাথর ভেদ করতে ব্যবহৃত ভারী ড্রিল মেশিনটি শুক্রবারই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সরকারি বিবৃতি অনুযায়ী, শনিবার সকাল ৮টায় মেশিনটি টানেল থেকে সম্পূর্ণভাবে টেনে বের করা হয়।

আটকে পড়া শ্রমিকরা কোন জায়গার বাসিন্দা?

আটকে পড়া শ্রমিকদের মধ্যে আছেন ঝাড়খণ্ডের ১৫ জন, উত্তরপ্রদেশের ৮ জন, ওড়িশা ও বিহারের ৫ জন, পশ্চিমবঙ্গের ৩ জন, উত্তরাখণ্ডের ২ ও অসমের ২ জন। এছাড়াও আছেন হিমাচল প্রদেশের ১ জন। এঁদের মধ্যে যেমন দক্ষ শ্রমিকরা আছেন। তেমনই আছেন অদক্ষ শ্রমিকরাও। দক্ষ শ্রমিক বা পাম্প অপারেটর অর্থাৎ ড্রিলাররা পান মাসিক ২৪ হাজার টাকা করে। আর, অদক্ষ শ্রমিকরা পান মাসে ১৮ হাজার টাকা করে।

আরও পড়ুন- সাংবাদিক সৌম্যা হত্যায় কঠোর সাজা! বিপুল অর্থও পাবে নিহতের পরিবার

সিল্কিয়ারা টানেলের কাছে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ

সিল্কিয়ারা টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। শ্রমিকরা যাতে তাঁদের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে পারেন, তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই ব্যবস্থা করেছে টেলিফোন পরিষেবা সংস্থা বিএসএনএল। শ্রমিকদের হ্যান্ডসেট দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন বিএসএনএল কর্তা। এই ব্যাপারে বিএসএনএল কর্তা তথা ডিজিএম রাকেশ চৌধুরী সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে বলেন, 'আমরা একটি টেলিফোন এক্সচেঞ্জ বানিয়েছি। খাবার পাঠানোর জন্য ব্যবহৃত পাইপের মাধ্যমে আমরা তাদের লাইনের সঙ্গে এক্সচেঞ্জ যুক্ত করে শ্রমিকদের একটি ফোন দেব। তাতে ইনকামিং এবং আউটগোয়িং দুটো পরিষেবাই থাকবে। তাঁরা (শ্রমিকরা) তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন। সিল্কিয়ারা টানেল থেকে ২০০ মিটার দূরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জটি তৈরি করা হয়েছে।'

West Bengal Uttarakhand Uttarkashi tunnel trapped Migrant labour bsnl Uttarkashi Tunnel Collapse
Advertisment