বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেছে মাঙ্কিপক্স। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে এমনটাই ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। মাঙ্কিপক্সের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করার দুটো অর্থ। এক, একে সাধারণ কোনও ঘটনা নয় বলেই বোঝানো। যার অর্থ, এটা অন্যান্য দেশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আর, দুই হল যে এর বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়াই করা দরকার। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার শনিবারের এই ঘোষণায় মাঙ্কিপক্সের চিকিৎসায় বিনিয়োগ যেমন বাড়বে। তেমনই, দুষ্প্রাপ্য ভ্যাকসিনগুলো পাওয়াও আরও সহজলভ্য হবে।
কয়েক দশক ধরেই মাঙ্কিপক্স মধ্য ও পশ্চিম আফ্রিকার কিছু অংশে টিকে আছে। তবে এটি মহাদেশের বাইরে বড় ধরনের প্রাদুর্ভাব ছড়ায়নি। অথবা, চলতি বছরের মে মাস পর্যন্ত মানুষের মধ্যে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ার কথাও জানা যায়নি। কিন্তু, পরিস্থিতিটা বদলে যায় ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং অন্য মহাদেশগুলোয় কয়েক ডজন মাঙ্কিপক্স আক্রান্ত শনাক্ত হওয়ার পর। এরপরই মাঙ্কিপক্সের জন্য বিশ্বে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে বাধ্য হল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর আগে জনস্বাস্থ্য সংকট যেমন করোনা অতিমারী, পশ্চিম আফ্রিকায় ইবোলার প্রাদুর্ভাব, লাতিন আমেরিকায় জিকা ভাইরাস এবং পোলিও নির্মূল করার ডাক দিয়েছে। সেগুলোর জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। প্রতিক্ষেত্রেই ঘোষণাগুলো কাজ দিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার আহ্বানে সাড়ে দিয়ে বিভিন্ন সংস্থা এবং সংগঠন মিলিতভাবে এইসব রোগ প্রতিরোধে এগিয়েছে।
আরও পড়ুন- নিজেকে ‘আন্ডারডগ’ মানলেন ঋষি সুনাক, তবে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত আশা ছাড়তে নারাজ
শনিবারের এই ঘোষণার আগে গত মাসে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞ কমিটি বলেছিল যে বিশ্বব্যাপী মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব এখনও আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জরুরি পরিস্থিতি তৈরি করেনি। তবে, পরিস্থিতি পুনর্মূল্যায়নের জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি এই সপ্তাহে ফের বৈঠক করবে বলে জানিয়েছিল। ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন সংস্থার তথ্য অনুসারে, মে মাস থেকে বিশ্বর ৭৪টি দেশে ১৬ হাজারের বেশি মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
Read full story in English