Advertisment

Same-Sex Marriage: সমকামী বিয়ে বৈধ হওয়ার পথে! তালিকায় আরও এক দেশ

Bill in Parliament: বিলটি নির্বাচিত নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে গেলে উচ্চকক্ষ সিনেটের চূড়ান্ত অনুমোদনের দরকার পড়বে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
Same-Sex-Marriage, Thai

Same-Sex-Marriage-Thai: পরিষদ সমকামী বিবাহকে বৈধ করার জন্য চারটি প্রস্তাবিত আইন অনুমোদন করেছে। (প্রতীকী ছবি)

Another country in support of same-sex marriage: সমকামী বিয়ের ব্যাপারে যাঁরা উৎসাহী, তাঁদের জন্য সুখবর। চলতি বছরের শেষেই সমকামী বিয়েকে বৈধতা দিতে চলেছে একটি দেশ। তা-ও আবার প্রথম বিশ্ব, অর্থাৎ ইউরোপের কোনও দেশ নয়। এই বৈধতা যে দেশ দিতে চলেছে, সেই দেশটি এশিয়া মহাদেশের অন্তর্গত।

Advertisment

বিশ্বে যখন সমকামী বিয়ে নিয়ে জোরদার আন্দোলন করছে সমাজের বিভিন্ন প্রান্তিক গোষ্ঠী এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো। সেই সময় এমন ধরনের রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত তাঁদের যারপরনাই উৎসাহিত করবে। ইতিমধ্যেই সমকামী বিবাহ সংশোধনী সেদেশের হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসে পেশ করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে পাস করানো হবে।

গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের একটি কমিটি সেদেশের সিভিল অ্যান্ড কমার্শিয়াল কোডের একটি খসড়া সংশোধনী অনুমোদন করেছে। যা সমকামী বৈবাহিক অধিকার নিশ্চয়তা দানের ব্যাপারে দেশটিকে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম রাষ্ট্র হওয়ার পথে এগিয়ে দিয়েছে।

বিলটি নির্বাচিত নিম্নকক্ষে পাশ হয়ে গেলে উচ্চকক্ষ সিনেটের চূড়ান্ত অনুমোদনের দরকার পড়বে। মনে নিশ্চয়ই প্রশ্ন জাগছে, এটা কোন দেশ? দেশটি হল ভারতীয় পর্যটকদের অন্যতম প্রিয় দেশ বা বেড়ানোর জায়গা থাইল্যান্ড। বিষয়টি হল, সিনেটে পাশ হওয়ার পর আইনটি কার্যকর করতে থাইল্যান্ডের রাজা ভাজিরালংকর্নের কাছ থেকে অনুমোদনের দরকার হবে। রাজা নিয়মতান্ত্রিক। তাই অনুমোদন সহজে মিলে যাবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ব্যাপারে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায়, হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের ডেপুটি চেয়ারম্যান আকরানুন খানকিত্তিনান জানিয়েছেন, গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে আইনটি চালু হতে বছর প্রায় ফুরিয়ে যাবে বলেই আশা করা হচ্ছে।

সমকামী বিয়েকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে ইতিমধ্যেই এশিয়ার দুটি দেশ ইতিহাসে নাম লিখিয়েছে। সেই দেশদুটি হল তাইওয়ান ও নেপাল। যদিও তাইওয়ানকে চিন স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি দেয় না। তবে, ভারত-সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে তাইওয়ান স্বীকৃত রাষ্ট্র। সেদিক থেকে এশিয়ার তৃতীয় দেশ হিসেবে থাইল্যান্ড সমকামী বিবাহকে স্বীকৃত দিতে চলেছে।

এই অগ্রগতি কিন্তু একদিনে হয়নি। কিছুদিন ধরেই সমকামী বিবাহকে স্বীকৃতি দেওয়ার পথে এগিয়ে যাচ্ছিল থাইল্যান্ড। গত ডিসেম্বরেই, সেখানকার প্রতিনিধি পরিষদ সমকামী বিবাহকে বৈধ করার জন্য চারটি প্রস্তাবিত আইন অনুমোদন করেছে। যার মধ্যে একটি প্রধানমন্ত্রী স্রেথা থাভিসিনের সরকার দ্বারা প্রস্তাবিত। এই সরকার গত বছরের সাধারণ নির্বাচনের আগে থাইল্যান্ডবাসীকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল যে, সমকামী বিবাহকে বৈধ করা হবে। বাকি তিনটি প্রস্তাব পেশ করেছিল বিরোধী দল মুভ ফরওয়ার্ড এবং ডেমোক্রেটিক পার্টি। এছাড়াও সুশীল সমাজের একটি মঞ্চও প্রস্তাব জমা দিয়েছিল। এই সবকটি প্রস্তাব একত্রিত করার জন্য হাউস কমিটি গঠন করা হয়েছিল। যে কমিটির খসড়া নিয়ে আগামী সপ্তাহে আলোচনা হবে।

এসব দেখে সেদেশের প্রশাসনের বেজায় প্রশংসা করেছে মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। রাষ্ট্রসংঘের সংস্থাটি জানিয়েছে, এলজিবিটিআই জনগণের অধিকারের জন্য একটি সাহসী উদাহরণ স্থাপন করার সুযোগ থাইল্যান্ডের কাছে এসেছে। আর, সেই সুযোগ নিতে ইতিমধ্যেই থাইল্যান্ড তাদের বিবাহ আইনে বেশ কিছু বদল এনেছে। যার অন্যতম হল, নারী পুরুষের বিবাহর বদলে আইনে জুড়েছে দুই ব্যক্তির বিবাহ কথাটি। স্বামী-স্ত্রীর বদলে আইনে স্থান পেয়েছে দম্পতি শব্দ।

থাইল্যান্ড অনেক আগে থেকেই LGBTQ লোকেদের আশ্রয়স্থল বলে পরিচিত। এই দেশের রাজধানী ব্যাংকক এবং বড় শহরগুলোয় খোলাখুলি সমকামী, উভকামী এবং ট্রান্সজেন্ডার সম্প্রদায় তাঁদের যৌন আচরণ পালন করে থাকেন। ২০১১ সালে রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার পরিষদে এলজিবিটিকিউ অধিকারের ঘোষণাপত্রে নয়টি দেশ স্বাক্ষর করেছিল। তার মধ্যে অন্যতম ছিল থাইল্যান্ড। যদিও মানবাধিকার কর্মীদের অভিযোগ, থাই আইন সমকামী দম্পতি এবং এলজিবিটিকিউ ব্যক্তিদের প্রতি বৈষম্য অব্যাহত রেখেছে। যার উদাহরণ হিসেবে থাইল্যান্ড অতীতে বিবাহ সমতা বিল স্থগিত করেছে। তবে, বর্তমানে থাইল্যান্ডে সমকামের প্রতি জনসমর্থন অপ্রতিরোধ্য।

Parliament Same Sex marriage Same Gender Marriage
Advertisment