দোলের সঙ্গে সঙ্গেই বঙ্গে শীতের প্রভাব কিছুটা হলেও কমেছে। তবে শুষ্কতা এবং রুক্ষতা এত সহজে বিদায় নেওয়ার নয়, গা হাত পা থেকে মুখের চামড়া, স্নান সেরে উঠলেই প্রচণ্ড টানছে। তার সঙ্গেই দেখা যাচ্ছে হাতের তালু শুকিয়ে যাওয়ার মত সমস্যা! স্কিনের পক্ষে এক নাজেহাল বিষয়। কী করবেন এই সময়?
Advertisment
আয়ুর্বেদিক এবং চর্ম রোগ বিশেষজ্ঞ আঁচল পান্থ বলছেন, গরমের তাপমাত্রা, জলের উষ্ণতা এবং আবহাওয়ার এই পরিবর্তন স্কিনের অবস্থা খারাপ করতে বেশ তৎপর। অনেকেই তার সঙ্গে সাবান কিংবা ক্ষার জাতীয় কিছু ব্যবহার করেন যেটি আদতে খারাপ এই সময় নিজেদের বাহ্যিক এবং অভ্যন্তরীণ ভাবে যত্ন নেওয়া খুব দরকার। কী করবেন?
চেষ্টা করতে হবে যেটাই ব্যবহার করুন না কেন সেটি যেন শিয়া বাটার অথবা কোকো বাটার যুক্ত হয়। শিয়া বাটারের মধ্যে অদ্ভুত এক নমনীয় ভাব থাকে সেই কারণেই স্কিনের নরম ভাব বজায় রাখে। ত্বকের ময়েশ্চার ধরে রাখে। এইসময় যাই হোক ক্রিম জাতীয় হলেই ভাল। তবে টানের ভাব একটু হলেও কমে।
সারাদিনে অন্তত তিনবার ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করবেন। সেটি যেন অবশ্যই নন স্টিকি হয়, এবং গ্রিসি অর্থাৎ ঘাম জাতীয় না হয়। শুদিং হয়, স্কিনে যেন আরাম দিতে পারে। শিয়া বাটার অথবা কোকো বাটার যুক্তই কিছু ব্যবহার করুন।
নন ফোমিং ক্লিনজার :- অর্থাৎ এমন ফেস ওয়াশ ব্যবহার করুন যার মধ্যে ফোমিং কিচ্ছু নেই। জেল জাতীয় অথবা ওয়াটার বেসের কিছু হলেই ভাল। এতে মুখ টানবে কম। ফোমিং প্রপার্টিজ sls যুক্ত হয় তাই গরমে এটি ব্যবহার না করলেই ভাল।
সানস্ক্রিন অবশ্যই ব্যবহার করুন। সেটি ক্রিম হোক অথবা লোশন, কিন্তু ব্যাবহার করা খুব দরকার। বিশেষ করে যাদের শুকনো ত্বক তারা দুই থেকে তিন ঘন্টার পর পর মুখ ভাল করে ধুয়ে নিয়ে আরেকবার সানস্ক্রিন লাগিয়ে নিন।
এগুলি ছাড়াও স্কিনে ভাল করে টাটকা অ্যালোভেরা জেল লাগানো খুবই ভাল। সাদা চন্দন এইসময় স্কিনের ভাল কাজে লাগে। মাঝে মধ্যেই ঠান্ডা জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন সেটি খুব ভাল কাজ করে, এতে স্কিনের প্রদাহ দুর হয়। রাত্রিবেলা বাড়ি ফিরে এক টুকরো বরফ এবং শশা মুখে ঘষতে পারেন তাহলে ভাল ফল দেবে।