Mahalaya Chokkhudan Tarpan: বুধবার মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ, দেবীপক্ষের সূচনা। এই তিথির তাই বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই তিথিতে বিশেষ কিছু কাজ করলে ফিরতে পারে অনেক অভাগারই ভাগ্য। আবার, এমন কিছু কাজ রয়েছে, যা করলে ক্ষতি হয়ে যেতে পারে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির। এমনটাই মনে করেন জ্যোতিষীরা।
মহালয়ার তিথিতে যা করবেন
এই তিথিতে ব্রাহ্মণ ভোজন করালে, তাতে বিশেষ ফল মেলে বলে মনে করা হয়। পাঁচ থেকে সাত জন ব্রাহ্মণকে এই তিথিতে ভোজন করানোর রীতি রয়েছে। পাশাপাশি, দুঃস্থ শিশুদের বস্ত্র বিতরণ করলে বা দুঃস্থ শিশুদের খাবার খাওয়ালে অথবা ফলদান করলেও সুফল মিলতে পারে। এর সঙ্গে, এই তিথিতে পশুপাখিকে খাওয়ালে তার শুভ ফল মেলে বলেই মনে করা হয়। এই বিশেষ তিথিতে পূর্বপুরুষের উদ্দেশ্যে কাঁচা দুধ, কালো তিল, আতপ চাল, সাদা ফুল এবং গঙ্গাজল দিয়ে তর্পণ করাই বিধি। অনেকেই স্থানীয় জলাশয়ে বা গঙ্গায় সেই তর্পণ সারেন। এই তিথিতে নিরামিষ আহার গ্রহণ হিন্দুদের অন্যতম রীতি।
আরও পড়ুন- ইচ্ছেমত লেবু জলপান করছেেন, অজান্তেই নিজের বিপদ ডেকে আনছেন না তো?
এই তিথিতে যা করবেন না
এই তিথিতে চুল, দাঁড়ি কাটতে নেই। কাউকে কোনও কিছু ধার দিতে নেই। এই তিথিতে বাড়িতে কোনও মাঙ্গলিক কাজ করতে নেই। বাড়ি, গাড়ি বা নতুন কিছু কেনাকাটা করার জন্য এই তিথি শুভ নয়। এই তিথিতে বাড়িতে কোনও ভিখারি এলে তাঁকে খালি হাতে না ফেরানোই বিধি। এর পাশাপাশি, মহালয়ার দিন মদ্যপানও করতে নেই। এই তিথিতে মাটিতে গর্ত খুঁড়তে নেই বলেও প্রচলিত আছে।
মহালয়ার তর্পণবিধি
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদ থেকে পিতৃপক্ষ শুরু হয়। হিন্দুরা এরপর একপক্ষকাল অর্থাৎ ১৫ দিন বিদেহি আত্মাদের স্মরণে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। যার সমাপ্তি ঘটে মহালয়ায়। এই তিথিতে ভোরবেলা উঠে পুজোপাঠই রীতি। যাঁরা তর্পণ করেন, তাঁদের ধুতি বা শুদ্ধ বস্ত্র পরতে হয়। সাধারণত গঙ্গা অথবা নদীতীর বা জলাশয়েই সারতে হয় তর্পণ। খালিপেটে এই সব আচার পালন করতে হয়। এই বিশেষ তিথি উপলক্ষে পিতৃপুরুষের ছবিতে বা মূর্তিতে মাল্যদানের রীতি আছে। তাঁদের ছবি বা মূর্তির সামনে পছন্দের খাবার সাজিয়ে দেওয়াই রীতি।