/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2021/12/c19.jpg)
প্রতীকী ছবি
Omicron Antibody: বছর দুয়েক ধরে করোনা ভাইরাসের সঙ্গেও নিত্যনতুন সব ভাইরাসের সংক্রমণ। আজ ডেল্টা তো কাল আলফা এবং বর্তমানের আতঙ্ক হল ওমিক্রন। এর আগেও ডেল্টার প্রকোপ প্রাণ হারিয়েছেন প্রচুর মানুষ এবং এর সংক্রমণের ঝুঁকিও ছিল মারাত্মক, সবথেকে বড় কথা শ্বাসযন্ত্রের সমস্যা সৃষ্টি করতে এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ওমিক্রন তেমন একেবারেই নয়। এর ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা থাকলেও এটি শরীরের ক্ষতি খুব একটা করে না। তবে গবেষণা বলছে ওমিক্রন অ্যান্টিবডি থেকেই করোনা ভাইরাসের অন্যান্য মারণ ভ্যারিয়েন্ট থেকে মিলবে রেহাই?
আদৌ এটি সম্ভব?
ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট থেকেই সারা বিশ্বে দ্বিতীয় ঢেউএর রেশ। এবং সর্বত্রই প্রায় মারণ হাহাকার। যদিও বা শুনতে অসম্ভব লাগতে পারে তবে আপনি যদি ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হন তবে পরবর্তীতে যে অ্যান্টিবডি আপনার শরীরে তৈরি হবে সেটি বাকি করোনা ভ্যারিয়েন্ট থেকে আপনাকে বাঁচাতে পারে। যদিও সর্বত্রই এখন ওমিক্রনের জের তারপরেও চিকিৎসা শাস্ত্রে খবর, ওমিক্রন আক্রান্ত প্লাজমা থেকেই সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
গবেষণা থেকে কী জানা যাচ্ছে?
দক্ষিণ আফ্রিকার একটি স্বাস্থ্য রিপোর্ট অনুযায়ী, এটি সম্ভব। অন্তত সেই দেশের বিজ্ঞানী এবং চিকিৎসকরা তাই বলছেন। তারা জানিয়েছেন, বেশিরভাগ রোগী যারা ওমিক্রন দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিলেন প্রায় দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের শরীরে এর বেশি ইমিউন যুক্ত অ্যান্টিবডি তৈরি হচ্ছে যেগুলি মিউটান্ট হিসেবে প্রতিক্রিয়া করতে পারে। তবে ঝুঁকি বেরেছে পুনরায় সংক্রমণের। তারপরেও অ্যান্টিবডি কিংবা টিকা অথবা আগের সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার মাত্রা সামান্য বেড়েছে বলেই আশা করছেন তারা। তবে প্রয়োজন আরও গবেষণা, অনেক চিন্তা ভাবনার প্রয়োজন।
পদ্ধতি সম্পর্কে কী জানা গিয়েছে?
এক গবেষক জানিয়েছেন, ওমিক্রন অ্যান্টিবডি ডেল্টার মিউটেশন কম করতে সক্ষম। কারণ ওমিক্রন চটজলদি ইলিসিট ইমিউনিটি তৈরি করতে পারে, সুতরাং ডেল্টা নিজে নিরপেক্ষ ভ্যারিয়েন্ট তাই সহজেই সংক্রমণের ঝুঁকি হ্রাস করতে পারে। এবং তারা এও জানিয়েছন এটি যদি পরবর্তীতে আরও সঠিক ভাবে প্রমানিত হয় তবে এর থেকে করোনা ভাইরাসের প্রভাব কমানো সক্ষম।
যদিও বা সতর্কতার বিপুল ভাবে প্রয়োজন। চোখ রাঙাচ্ছে ডেল্টা এবং ওমিক্রনের মিলিত মিউট্যানট ডেলমিক্রন - প্রথম প্রহরেই দমন না করলে পরে বেশ অসুবিধে হবে। যদিও বা ওমিক্রন নিয়েও অনেক গবেষণার প্রয়োজন তারপরেও নিত্যনতুন ধারণা থেকেই ধীরে ধীরে ভাইরাসের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন