বাচ্চাদের করোনা আক্রান্ত নিয়ে প্রত্যেক বাবা মায়ের মধ্যেই উদ্বেগের শেষ নেই! একদম ছোট শিশুদের যেন আরও বেশি সমস্যা। কারণ ওদের এখনও ভ্যাকসিনের বন্দোবস্ত হয়নি। এবং বাড়ি থেকে থেকেও ওদের মানসিক অবস্থা একেবারেই সুরক্ষিত নয়। তাই ওদের বিশেষ করে যত্ন নেওয়া আবশ্যিক! সম্ভবত বর্তমান পরিস্থিতিতে বাচ্চারা মানসিক ভাবে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ সেই সম্পর্কে আগেই জানিয়েছেন মনোবিদরা।
Advertisment
পুষ্টিবিদ এবং আয়ুর্বেদিক বিশেষজ্ঞ ডা নিতিকা কোহলি বলছেন, বাচ্চাদের মধ্যে কম উপসর্গ দেখা গেলেও ওদের দারুনভাবে যত্নে রাখতে হবে। বেশ কিছু নিয়ম মেনে চলতে হবে। বাড়িতে বিশ্রাম করে, বদ্ধ থেকেও সুস্থ হওয়া যায়, তারপরেও মনে রাখবেন ওদের শিশুমন এবং শরীরের প্রতি গুরুত্ব থাকা আবশ্যিক! কী ভাবে যত্নে রাখবেন ওদের?
বাচ্চাদের প্রতিদিনের খাবারের প্রতি যত্ন নিন। বাড়িতে বানানো খাবার ওদের খেতে দিন, এবং বেশি করে জল খেতে অভ্যাস করুন। জল সঠিক পরিমাণে না খেলে কিন্তু বাচ্চাদের হাইড্রেশন নষ্ট হয়ে যাবে।
দ্বিতীয়, যদি জ্বরের মাত্রা বেশি থাকে তবে অবশ্যই তাপমাত্রা কমাতে জলপট্টি দিতে পারেন, এতে বাচ্চার শরীরে ভালই হবে। কষ্ট একটু হলেও কমবে।
তৃতীয়, সারাদিনে অন্তত বেশ কিছুবার গরম জলে হাত সাবান দিয়ে ধোয়ার অভ্যাস ওদের রাখতেই হবে। ভুলে গেলে আপনি মনে করিয়ে দিন।
চতুর্থ, সারাদিনে ছয় ঘণ্টা পরপর অক্সিমিটার ব্যবহার করে ওদের পালস রেট দেখে নিন। এমনকি দেহের তাপমাত্রাও চেক করে নেবেন। বাড়াবাড়ি দেখলেই চিকিৎসককে জিজ্ঞেস করুন।
পঞ্চম, যতই অসুবিধে হোক কিছুদিনের জন্য আপনার শিশুকে বাড়িতে বন্ধ করেই রাখুন। এতে সমস্যা কমবে, শারীরিক ভাবে বিশ্রাম নেওয়ার প্রয়োজনও আছে।
ষষ্ঠ, আপনার শিশুর সঙ্গে আপনাকেও সার্জিক্যাল মাস্ক পরে থাকতেই হবে এবং আট ঘণ্টা পরপর সেটিকে বদলে ফেলুন, তাহলে জীবাণুমুক্ত থাকবে।
সপ্তম, কোনও ওষুধ দিতে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, সেটি ওর পক্ষেই ভাল। হঠাৎ করে প্যারাসিটামল কিংবা পেইন কিলার না জিজ্ঞেস করে খাওয়াবেন না।
সবকিছুর সঙ্গেই ওদের মন থেকে ভাল রাখার চেষ্টা করুন, তাহলেই সমস্যা মিটবে। বাচ্চাদের মানসিক পরিস্থিতি ঠিক রাখা এই সময় খুব দরকার।