Avoid sleep at work: অফিসে কাজের সময় খালি ঘুম পায়? আলস্য দূর করুন এই সহজ উপায়ে, গায়েব হবে ক্লান্তি

Tips to avoid sleep at work: কাজ করার সময় ঘুম পেয়ে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এই সমস্যাটি এড়ানোর জন্য অনেক কার্যকরী উপায়ও রয়েছে, যাতে কাজের সময় আমাদের ঘুম না আসে। এখানে আমরা এমন কয়েকটি টিপস নিয়ে আলোচনা করব

author-image
IE Bangla Lifestyle Desk
New Update
NULL

Sleep at Work: অফিসে কাজের সময় ঘুম তাড়ানোর উপায় কী?

Tips to avoid sleep at work: ঘুম (Sleep) আমাদের স্বাস্থ্যের সঙ্গে একটি গভীর সম্পর্ক বহন করে। সঠিকভাবে জেগে থাকার জন্য আগে একটি ভাল ঘুম অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে আমরা শুধু সারা দিন সতেজ (Fresh) অনুভব করি না, বরং আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মও সহজে সম্পন্ন হয় এবং আমাদের মানসিক ভারসাম্যও অটুট থাকে। ঘুমের গুরুত্ব (Importance) প্রাচীন আয়ুর্বেদিক গ্রন্থ থেকে শুরু করে আধুনিক চিকিৎসা-বিজ্ঞানের দ্বারাও স্বীকৃত হয়েছে। তবে, যদি কোনও কারণে আমরা ভালভাবে ঘুমাতে না পারি, তাহলে তা সারা দিনের কাজের ওপর প্রভাব ফেলে। তা ঘরের কাজ হোক, বাইরের কাজ হোক বা অফিস-দফতরের।

Advertisment

আসলে, কাজ করার সময় ঘুম পেয়ে যাওয়ার অনেক কারণ থাকতে পারে। এই সমস্যাটি এড়ানোর জন্য অনেক কার্যকরী উপায়ও রয়েছে, যাতে কাজের সময় আমাদের ঘুম না আসে। এখানে আমরা এমন কয়েকটি টিপস নিয়ে আলোচনা করব, যা কাজের সময় ঘুম আসার সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সহায়ক হবে। চলুন, এ সম্পর্কে জানি।

মাঝেমধ্যে হাঁটুন 

যদি অফিসের কাজ বা দৈনন্দিন কাজকর্মের মধ্যে আপনার ঘুম আসার সমস্যা হয়, তাহলে এর জন্য উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করাই সবচেয়ে সহজ এবং কার্যকরী উপায়। কাজের সময় ঘুম কাটানোর জন্য অনেকে প্রায়ই নিকোটিন বা ক্যাফেইন জাতীয় জিনিসের উপর নির্ভর করে ফেলেন। যেমন, চা, কফি, বা সিগারেট, তামাকজাত পণ্যের ব্যবহার করেন। তবে এর পরিবর্তে, যদি আমরা সেই সময় একটু হাঁটাহাঁটির অভ্যাস গড়ে তুলি, তাহলে এটি কেবল ঘুম তাড়াতে সাহায্য করে না, বরং আমাদের স্বাস্থ্যের ওপরও ভালও প্রভাব ফেলে। কারণ হাঁটার মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক ও শরীরে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়, যা আমাদের আবার সতেজ করে তোলে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, ১০-১৫ মিনিট হাঁটা আমাদের ২-৩ ঘণ্টার শক্তি দিতে পারে।

Advertisment

চোখের যত্ন নিন

আজকের ব্যস্ত জীবনে আমরা মোবাইল, কম্পিউটার এবং টিভির অভ্যাসে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের জানা উচিত যে, এই ডিভাইসগুলোর স্ক্রিন থেকে নির্গত আলো শুধু আমাদের ঘুমকে প্রভাবিত করে না, বরং আমাদের চোখকেও ক্লান্ত করে তোলে। এতে চোখের উপর চাপ পড়ে এবং আমরা ঘুমন্ত বোধ করি। তাই এমন কিছু অনুভব করলে স্ক্রিনের সামনে থেকে কিছু সময়ের জন্য সরে যাওয়া উচিত। পাশাপাশি, এই ডিভাইসগুলি গভীর রাত পর্যন্ত ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকা উচিত। এতে ভাল ঘুম হবে এবং আমরা পরদিন সতেজ অনুভব করব।

আরও পড়ুন বেশি লম্ফঝম্ফের দরকার নেই, রোজ ১ মিনিট করুন এই ব্যায়াম, একমাসে গায়েব হবে পেটের মেদ

আলোর পরিবেশে আসুন

কাজের সময় ঘুম আসার আরেকটি কারণ হতে পারে আমাদের চারপাশের পরিবেশে পর্যাপ্ত আলোর অভাব। আজকের সময়ে, বিশেষত করোনা মহামারীর পরে, আমাদের সমাজে ঘরে বসে কাজ করার প্রবণতা বেড়েছে। এ অবস্থায়, অনেকেই বাড়ির দরজা-জানালা বন্ধ করে একান্ত পরিবেশে কাজ করতে পছন্দ করেন। তাদের উচিত মাঝে মাঝে বাড়ি থেকে বেরিয়ে সূর্যের আলোতে আসা। এছাড়াও, অনেকেই কম আলোতে কাজ করতে পছন্দ করেন, কিন্তু এটি কাজের সময় ঘুমানোর একটি কারণ হতে পারে। তাই যদি এমন কোনও সমস্যা অনুভব হয়, তবে আপনার কাজের স্থানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করুন।

আরও পড়ুন ৪১ -এও কীভাবে এত নাচতে পারেন সুনিধি? ফাঁস হল আসল রহস্য...

গভীর শ্বাস নিন

হাঁটার সময় গভীর শ্বাস নেওয়ার মাধ্যমে রক্তে অক্সিজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এমনিতেও গভীর শ্বাস নেওয়া আমাদের হৃদয় এবং মস্তিষ্ককে অনেক প্রশান্তি দেয়। এর ফলে আমাদের মধ্যে এক নতুন সতেজতা আসে। আসলে, অক্সিজেনই আমাদের শক্তি-স্তরের নিয়ন্ত্রক। তাই কাজ করার সময় ঘুম অনুভব হলে গভীর শ্বাস নেওয়া এই সমস্যাটি এড়ানোর জন্য একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায়।

sleep lifestyle human lifestyle sleep challenges Sleeping Disorder